সরজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার কালীগ্রাম, আবাদপুকুর, বেলগড়িয়া, সিলমাদার, করজগ্রাম, ভেটি, দামুয়া, নারায়ণপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত বিঘা জমির ধান এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত জমির ধান খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মরে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আবাদপুকুর বড়িয়াপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ৫ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি। এর মধ্যে ৪ বিঘা জমির ধান এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ প্রয়োগ করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে অনেক কৃষক জমির ধান কেটে ফেলে দিয়ে নতুন করে ধান রোপণ করছেন। উপজেলার দামুয়া গ্রামের কৃষক আফসার আলী বাংলানিউজকে জানান, ধান রোপণের পর থেকেই হঠাৎ করে ধানের পাতা হলুদ বর্ণ হতে থাকে। আমার ৪ বিঘা জমির ধান কেটে আবার নতুন করে ধান রোপণ করেছি।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে রাণীনগর উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে রোপা/আমন ধান রোপণ করা হয়েছে। হঠাৎ করে এলাকার কিছু জমিতে এ রোগ দেখা দেয়। এটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। অনু খাদ্যের অভাবে এটি হয়েছে। তবে আমরা কৃষকদের প্রতি বিঘাতে ৮ থেকে ১০ কেজি ইউরিয়া এবং পটাশ সার দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষকদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য আমরা সব সময় মাঠে কাজ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
আরএ