গত বছর আমন ও এবারের আউশের বাম্পার ফলনে আমন চাষে বেশি আগ্রহী হয়েছেন কৃষকরা। এবার জেলার রামগতি, কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জ ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে আমনের আবাদ করেছে কৃষক।
সদর উপজেলার চর ঊভূতি গ্রামের কৃষক আনোয়ার উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষা মৌসুমের (জৈষ্ঠ্য-আষাঢ়) শুরু থেকে পরিমিত বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় যথাসময়ে বীজতলা তৈরি করা গেছে। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে মূল জমিতে রোপন হয়েছে ধানের চারা। এখন চলছে পরিচর্যা। অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে ধান কেটে গোলায় উঠাবেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার পাঁচ উপজেলায় ৭২ হাজার ৫৯৭ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ২৯৩ হেক্টর বেশি জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলা উফশী জাতের ১৯ হাজার ২৩০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ২ হাজার ১০০ হেক্টর, হাইব্রিড ৫০ হেক্টর। রায়পুরে হাইব্রিড ১ হাজার হেক্টর, উফশী ৯ হাজার, স্থানীয় ১৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।
এছাড়া রামগঞ্জে ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে উফশী ধানের আবাদ করে কৃষকরা। কমলনগরে উফশী ২২ হাজার হেক্টর, স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৫০০ হেক্টর ও কমলনগরে ১৮ হাজর ২৬০ হেক্টরে উফশী এবং ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে রোপা-আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। প্রত্যাশিত ফসল উৎপাদনে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারাসহ কৃষি বিভাগ। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদনও ভালো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এসআর/ওএইচ/