কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর জেলায় আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫ মেট্রিক হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি।
গত বছর জেলায় ৪ লাখ ৯৩ হাজার ১০০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। তবে ভোলায় আমনের চাহিদা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯১৮ টন। বাকি চাল জেলার বাইরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, জেলার চাইতে বেশি আমনের আবাদ হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলায়। সেখানে এ বছর ৭০ হাজার ৩৩৪ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ৬৪টি ব্লকে এ ধানের আবাদ হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনতোষ সিকদার বাংলানিউজকে জানান, গত বছর চাহিদার পরেও উপজেলায় এক লাখ ৮০ মেট্রিক টন চাল উদ্বৃত ছিলো। এ বছরও অনেক ভালো ফলন হবে।
ভোলা সদরের চন্দ্র প্রসাদ গ্রামের কৃষাণী বিবি তহমিনা বাংলানিউজ জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমনের ফলন অনেক ভালোর দিকে। এ বছর আমরা ২ কানি জমিতে আমনের আবাদ করেছি। ক্ষেতে কোনো পোকা-মাকড়ের আক্রমণ নেই।
একই এলাকার কৃষক শাজাহান বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর আমনের ভালো ফলন হওয়াতে এ বছর ছয় একর জমিতে আমনের আবাদ করেছি, ফলন ভালোর দিকে।
তিনি আরো বলেন, গত বছর এক লাখ ৩৫ হাজার টাকার ধান বিক্রি করেছি, তাতে খরচ পুষিয়ে ৪০ হাজার টাকা লাভবান হয়েছি। এ বছরও লাভ হবে বলে আশা করছি।
ভেলুমিয়া চন্দ্র প্রসাদ এলাকার দায়িত্ব উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খোকন রায় বাংলানিউজকে বলেন, আমনের ফলন ভালো হবে, এ বছর ফসলের কোনো বিপর্যয় নেই। কৃষকরাও অনেক খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
এনটি