আলুর মতোই মাটির নিচে পরিপূর্ণ বিকাশ হয় গাজরের। মাটি থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পেয়ে উদ্ভিদগুলো সমৃদ্ধি লাভ করে তার ফলবৃদ্ধিতে।
চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল শহর থেকে সামান্য দূরে শাহজিবাজার এলাকার একটি নিভৃতকোণে ভুট্টার পাশাপাশি শোভা পাচ্ছে গাজর। আর কিছুদিন পরেই কৃষক ঘরে তুলবেন তার দ্বিগুণ লাভের এই সবজি।
মেঘডুবি এগ্রো ফার্ম, শ্রীমঙ্গল এর পরিচালক সৌরভ রায় এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ভুট্টাক্ষেতের পাশে প্রায় দেড় শতাংশ জায়গা ফাঁকা ছিল। সেটি ফেলে না রেখে তাতে চাষ করেছি গাজর। ডিসেম্বরে লাগিয়েছিলাম; এখন তিন মাস চলছে। এই মার্চ মাসের শেষ দিকে ওগুলো তুলে বাজারে বিক্রি করতে পারবো। এতে আমার প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গড় হিসেব করলে এর থেকে লাভ প্রায় দ্বিগুণ হবে।
তিনি আরো বলেন, শুধু তা-ই নয় ভুট্টাক্ষেতের আইলে লাগিয়েছি নাগা মরিচের চারাও। বাজারে গাজরের মতো নাগা মরিচের চাহিদাও প্রচুর। তাই গাজরের পাশাপাশি নাগা মরিচও রয়েছে আমার ক্ষেতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গাজর প্রচুর পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি সবজি। তাই একে ‘সুপার ফুড’ বলা হয়। Carrot এর ইংরেজি নাম। গাজরে ভিটামিন ‘এ’সহ অন্যান্য উপাদান থাকায় দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে, ক্যান্সার প্রতিরোধে, অ্যান্টিঅক্সিজেন বৃদ্ধিতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও বলিরেখা রুখতে এবং কোলেস্টোরেল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৯
বিবিবি/এসআই