বুধবার (০৬ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই) আয়োজিত এগ্রিকালচার ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ অ্যাভিডেন্স অন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন সেনসেটিভ এগ্রিকালচার শীর্ষক পলিসি ওয়ার্কশপে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও গবেষণা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আধুনিক জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সরকার জিএমওসহ কৃষি রূপান্তর, হাইব্রিড জাত নিয়ে এসেছে। আমাদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু আমাদের কৃষকবৃন্দ উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। এরফলে কৃষক আর্থিক সক্ষমতা অর্জনের ব্যর্থ হচ্ছে, কৃষিকাজে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের দেশে উদ্ভাবিত বিটি বেগুন কৃষক ভোক্তা সবাই গ্রহণ করেছে উৎপাদন ভালো এবং বেশ লাভজনক। কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন নতুন জাত নিয়ে বিরোধিতা করছে। তারা কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়া কথা বলছে। এসব ফসলে কোনো ক্ষতিকর কিছু নেই।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে আমাদের আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল। খাদ্য ভেজাল রোধে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, ভেজাল রোধে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ল্যাব ও বিভাগীয় শহরগুলোতে একটি করে ল্যাব স্থাপন করা হবে যাতে করে দ্রুততার সঙ্গে ভেজার সনাক্ত করা যায়।
অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুর রৌফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)’র মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আযাদ। এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিএই) মীর নুরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মিশন ডিরেক্টর (ইউএসএআইডি) জিনাহ সালাহী এবং আইএফপিআরআইয়ের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিটিভ আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
জিসিজি/এনটি