ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

সাতক্ষীরায় আমের ভালো ফলন নিয়ে সংশয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৯
সাতক্ষীরায় আমের ভালো ফলন নিয়ে সংশয় মুকুলে আমের গুটি ধরতে শুরু করেছে। ছবি: বাংলানিউজ

সাতক্ষীরা: চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি ঝড়-বৃষ্টিতে মুকুল ঝরে যাওয়ায় আমের সেই ফলন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে চাষিদের মনে। তারপরও আমের গুটি রক্ষায় বাগান পরিচর্যা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। 

কৃষি বিভাগের দাবি, ঝড়-বৃষ্টিতে আমের মুকুলের সামান্য ক্ষতি হলেও আগামীতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দিলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।  

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন।

এ লক্ষ্যে জেলার প্রায় ৪ হাজার ১০০ হেক্টর জমির ৩ হাজার ৯৮৯টি বাগানে আম গাছ পরিচর্যা করা হচ্ছে।

এরমধ্যে, সদর উপজেলার ১ হাজার ২৩০ হেক্টর জমির ১ হাজার ৫৪০টি বাগানে ১২ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন, কলারোয়ার ৬৫০ হেক্টর জমির ১ হাজার ৩৫০টি বাগানে ৬ হাজার ৩৫ মেট্রিক টন, তালায় ৭১৫ হেক্টর জমির ১ হাজার ৪৫০টি বাগানে ৭ হাজার ৬০ মেট্রিক টন, দেবহাটায় ৩৮০ হেক্টর জমির ৪৭৭টি বাগানে ৩ হাজার ৬৮৫ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জে ৮২৫ হেক্টর জমির ১৪২টি বাগানে ৮ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন, আশাশুনিতে ১৪০ হেক্টর জমির ১৯০টি বাগানে ১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন ও শ্যামনগরে ১৬০ হেক্টর জমির ১৫০টি বাগানে ১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।  

এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩১.৮৩ মেট্রিক টন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৭ মেট্রিক টন নিরাপদ ও বালাইমুক্ত আম রফতানির পর চলতি মৌসুমেও আম রফতানির লক্ষ্যে জেলার ৫০০ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।  

এ লক্ষ্যে সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া ও বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ সদর উপজেলার ১ হাজার ৫৩০ বিঘা, তালায় ৩৫০ বিঘা, আশাশুনিতে ৩৫৫ বিঘা, দেবহাটায় ৩২০ বিঘা, কলারোয়ায় ৩ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে রফতানিযোগ্য আম প্রস্তুতে কৃষকদের পরিচর্যা, সুষম সার প্রয়োগ, আগাছা দমন, ডাল ছাঁটাই ও স্প্রে করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে।  

কলারোয়ার আম চাষি ডাবলু বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন বর্ষায় মুকুলের কিছুটা ক্ষতি হলেও গাছে গুটি ধরা শুরু করেছে। পরবর্তীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে।

সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুরের আম চাষি জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশ ভালো মুকুল হলেও অতি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও আবার মুকুলে কালো ছত্রাক আক্রমণ করেছে। সব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার চেষ্টা করছি, আশা করি উৎপাদন ভাল হবে।  

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত কিছুটা ক্ষতি হলেও পুরোটাই ভালো বলা যায়। আমের গুটি আসা শুরু করেছে। এখন বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এসব পরামর্শ নিয়ে কৃষক কাজে লাগালে অবশ্যই সফল হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।