উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের দক্ষিণ জয়দেবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিমের জমিতে এ নতুন ধান সুন্দরীর পরীক্ষামূলক চাষ শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি তার জমিতে এ ধানের চারা রোপণ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিস্তৃত জমিতে রোপণ করা হয়েছে সবুজ রঙের ইরি-বোরো ধানের চারা। এই সবুজের মাঝে মানুষের নজর কাড়ছে ৩৩ শতাংশের হাকিমের জমিটি। কারণ অন্যান্য জমির ধানের চারার রং সবুজ হলেও হাকিমের জমির ধানের চারার রঙ বেগুনি।
এ ধানের পরীক্ষামূলক চাষ শুরু হওয়ায় হাকিমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ভবিষ্যতে আশপাশের এলাকা ছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলায় এই সুন্দরী ধানের আবাদ শুরু করবেন বলে এলাকার কৃষকরা আশা প্রকাশ করেছেন।
সড়কের ধারে ধান ক্ষেতটি হওয়ায় এবং রং বেগুনি দেখে ওই পথে যাতায়াতকারীদের ক্ষেতটি নজর কেড়েছে।
কৃষক আব্দুল হাকিম বাংলানিউজকে জানান, গত মৌসুমে পাশ্ববর্তী জেলা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুলালী বেগম এই সুন্দরী জাতের ধান চাষ শুরু করেছেন। অন্যান্য ধানের চারা দেখতে সবুজ হলেও সুন্দরীর ধানের চারা বেগুনির রঙের হয়। তিনি কৌতুহল বশতঃ চলতি বছর দুলালী বেগমের কাছ থেকে এক কেজি ধানের বীজ দেড় হাজার টাকা দিয়ে কিনে এনে নিজ জমিতে বীজতলা শুরু করেন। বর্তমান সময়ে ক্ষেতটির গোছাগুলি উফশী জাতের ধানের মত। গোছার রং বেগুনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এই ব্যতিক্রমধর্মী ধানের চারা রোপণ করায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে হাকিমকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের দুলালী বেগমের সঙ্গে কথা বলে সুন্দরী ধানের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ নেয়া হয়েছে। তার পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে আব্দুল হাকিমকে উদ্বুদ্ধ করা হবে। ভবিষ্যতে এই উপজেলার অন্য এলাকায়ও এই ধানের পরীক্ষামূলক চাষ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। যাতে করে এই সুন্দরী জাতের ধানের আবাদ জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া যায়। ধানটির ফলন যদি ভাল হয় তাহলে এর বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন এর ফলন কি রকম হবে তা জানতে ধান কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
আরএ