রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর আ.কা.মু গিয়াস উদ্দিন মিলকি অডিটরিয়াম চত্বরে জাতীয় মৌ মেলা-২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিন দিনব্যাপী এবারের মৌ মেলার প্রতিপাদ্য ‘ফলন, আয় ও পুষ্টি বাড়াতে মৌ চাষ করি’।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ব বিভাগের প্রফেসর মো. আহসানুল হক স্বপন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মৌচাষ সম্প্রসারণ পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পরাগায়নের মাধ্যমে ফল ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখে। তাই ফসলের মাঠে মৌচাষ কৃষকের জন্য বাড়তি আয়ের সংস্থান করে। এজন্য মধু উৎপাদন, বিপণন, প্রসেসিং নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন। মৌচাষের বিষয়টি স্বল্পশ্রম ও স্বল্প পুঁজির বিনিয়োগের তুলনায় অধিক মুনাফা লাভের সম্ভাবনাময় পেশা ও ব্যবসা হিসেবে জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। তবে আমাদের সম্ভাবনার সর্বোচ্চ অংশটুকু নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও মৌচাষ ও বিপণনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মোট ৩০ শতাংশ নারী জড়িত।
তিনি বলেন, কৃষিকে প্রকৃত বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে হবে। এজন্য বাজারজাত, বিপণন ও রফতানি অপরিহার্য। জাপান আমাদের দেশ থেকে মধু রফতানি করে, তাহলে সে দেশে আরও অনেক কিছু রফতানি করা যাবে, সেগুলো বের করতে হবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মৌমাছি প্রকৃতির বন্ধু। পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মৌমাছির বিভিন্ন প্রজাতি আজ বিপন্নপ্রায়। তাই প্রকৃতির সুরক্ষায় সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। রূপকল্প-২০২১ অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। আমরা চাই ভিশন-২০৪১ অর্জন করে উন্নত রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশ স্থান করে নেবে। উন্নত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কোনো খাতকেই পাশ কাটানোর সুযোগ নেই, সব সেক্টরকেই গুরুত্ব দিয়ে এর উন্নয়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
জিসিজি/আরআর