চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর জুড়ে নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর বীরশ্রেষ্ঠ সেতুর দু’পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে ইরি-বোরোর আবাদ।
সেতুর দু’দিকে এখন প্রায় দুই হাজার হেক্টর ফসলের জমি। সেতু নির্মাণের সময় নদী শাসন করতে গিয়ে সংকুচিত হয়ে পড়েছে মহানন্দা। প্রতিবছরই বাড়ছে চর এলাকা। চরের কারণে নদীর মূল প্রবাহ একেবারেই থেমে গেছে। ফলে মাছ চাষে ভাটা পড়েছে। সেতু সংলগ্ন বারঘরিয়া এলাকার প্রায় হাজারখানেক জেলে পরিবার বেকার হয়ে পড়েছেন।
পানির সংকটে ভুগছেন ভোলাহাট, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও নবাবগঞ্জ সদরের মানুষেরা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ পাঁচ উপজেলার কৃষি ব্যবস্থা। বিশেষ করে গোমস্তাপুর, নাচোল ও নবাবগঞ্জ সদরের বরেন্দ্রভূমিতে তীব্র সেচ সংকট শুরু হয়েছে। নদীপাড়ের ১৪টি সেচ ক্যানেল বন্ধ হয়ে আছে। ফলে এ তিন উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির ধান শুকিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে মহানন্দা নদীর পানির গভীরতা কোথাও ১ ফুট, কোথাও ৬ ইঞ্চি। নদীর পানি কমে যাওয়ায় এসব এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও নিচে নেমে গেছে। চাঁপাই শহরের প্রায় সব টিউবয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে। তীব্র পানি সংকটে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, মহানন্দা নদীতে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ, লালগোলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে মালদহ পর্যন্ত লঞ্চ-স্টিমার চলতো। সে মহানন্দা আজ মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। লঞ্চ-স্টিমার দূরের কথা, এখন নৌকাও চলে না। পাগলা ও পুনর্ভবার মতো শাখা নদীগুলোও শুকিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
একে