শনিবার (১১ মে) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়- মরিচ আবাদে কৃষকেরা হতাশ হয়ে জমি থেকে মরিচ তুলে শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, হঠাৎ করে মরিচ ক্ষেতে নানা রকম পোকার আক্রমণ হয়েছে।
চাষিদের অভিযোগ, এ অবস্থায় কৃষি বিভাগের কোনো লোক মাঠে এসে তাদের সহায়তা করে নাই। আর এতে লোকশানের মুখে পড়েছেন তারা।
জেলার পঞ্চগড় সদর, তেতুঁলিয়া, আটোয়ারী ও বোদা উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা মহাজনের থেকে ঋণ নিয়ে ও ধার-দেনা করে মরিচ চাষ করেছেন। পঞ্চগড় সদর উপজেলার ক্ষুদ্র চাষি আব্বাস মিয়া ও আটোয়ারী উপজেলার চাষি ছিদ্দিক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঋণ করে এবার লাভের আশায় মরিচ চাষ করেছি। কিন্তু পোকার আক্রমণে এবং (অ্যানথ্রাক্সনোজ) টেপা ও পচা রোগে আক্রান্ত হয়ে মরিচ গাছে পচন ধরেছে। লাভ তো দূরের কথা ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করব তাই ভাবছি।
এদিকে, তেঁতুলিয়া উপজেলার কৃষক আজগর আলী বলেন, গত বছরগুলোতে মরিচ চাষ করে ভালো লাভ হয়েছিল। তাই এবারো লাভের আশায় মরিচ চাষ করেছি।
এখন পোকার আক্রমণে লাভ তো দূরের কথা আসল উঠাতে পারবো কিনা জানিনা।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবু হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় এ বছর ১০ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে বাঁশগাইয়া, বিন্দু, হট মাস্টারসহ স্থানীয় জাতের মরিচের চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর বেশি। মরিচের আবাদ তো ভালোই হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ২ টন শুকনো মরিচের ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন, দিনে গরম রাতে ঠাণ্ডার কারণে মরিচ (অ্যানথ্রাকনোজ) টেপা ও পচা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কৃষি বিভাগ চাষিদের সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে আসছে। কৃষকরা মরিচ চাষে লাভবান হবেন বলে আরো জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
আরএ