নওয়াপাড়ার ভাঙ্গাগেটে মশরহাটী গ্রামে সাউথ ডেল্টার একটি গোডাউনে বুধবার (১৭ জুলাই) মেয়াদোত্তীর্ণ ইউরিয়া সার রি-প্যাকিংয়ের সময় প্রায় ৫০ হাজার বস্তা সার জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটক করা হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের স্টাফ গাজীপুরের আবুল কালামের ছেলে রাশেদুল ইসলাম ও একই এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে শহিদুল ইসলামকে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংশ্লিষ্টরা বাংলানিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মশরহাটী গ্রামে ভৈরব সেতুর পাশে ‘আক্তার অ্যাগ্রো অ্যান্ড ফার্টিলাইজার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কাছ থেকে ভাড়ায় নেওয়া গোডাউনের মধ্যে নষ্ট ইউরিয়া রি-প্যাকিং করছিলো সাউথ ডেল্টা। এসময় ফাক্টরির মধ্যে বিসিআইসির কয়েক হাজার নতুন বস্তা, নষ্ট ও মেয়াদোত্তীর্ণ ইউরিয়া সার গুঁড়ো করে রি-প্যাকিং করা বস্তা, বরফভাঙা একটি মেশিন, কয়েকটি লোহার দরমুজ, বেলচাসহ বিভিন্ন জমাট বাঁধা সার গুড়ো করা ও রি-প্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহীনুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বিপুল পরিমাণ জমাট বাঁধা ইউরিয়া সার, বরফভাঙা জাতীয় একটি মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির দাবি, সব সার বৈধ এবং তাদের কাগজ-পত্র আছে। এজন্য কাগজ-পত্র দাখিলের জন্য একদিন সময় দেওয়া হয়েছে। তবে অপরাধী হলে তাদের ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। প্রয়োজনে নিয়মিত মামলাও হতে পারে।
কৃষকদের অভিযোগ, সার আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় জড়ানো সাউথ ডেল্টা বছরের পর বছর এমন কাণ্ড করে কৃষকের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছে। তারা বিসিআইসির পরিবহন ঠিকাদার হওয়ায় সুকৌশলে এই নষ্ট সার আবার সরকারি বাফার গুদামের মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতার হাত দিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের হাতে পৌঁছাচ্ছে। যদিও এসব সার কিনতে কৃষক পর্যায়ে চরম অনীহা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
ইউজি/এইচএ/
** নষ্ট ইউরিয়া নতুন প্যাকেটে ভরছে সাউথ ডেল্টা
** নওয়াপাড়ায় পানিতে ভিজে ৫ হাজার বস্তা সার নষ্ট