ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে চাষে অনাগ্রহ কৃষকদের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে চাষে অনাগ্রহ কৃষকদের হাল চাষ করেছেন এক কৃষক। ছবি: বাংলানিউজ

মেহেরপুর: পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাব এবং ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণে মেহেরপুরের চাষিদের আউশ আবাদে আগ্রহ একেবারে কমে গেছে। তাই জেলাটিতে ধান চাষে এবারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। একইসঙ্গে এ বছরই প্রথম আউশ আবাদে কৃষকদের রেকর্ড পরিমাণ প্রণোদনা দিয়েও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তররের উপ পরিচালক কৃষিবিদ ড. আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৯ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি। কিন্তু আউশ রোপণের সময় প্রায় শেষ হয়ে এলেও আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে।

যদিও আউশ আবাদের এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।  

তিনি বলেন, আউশ আবাদ বৃদ্ধিতে ইতোমধ্যে মেহেরপুর জেলার সাড়ে পাঁচ হাজার চাষির মধ্যে ৪৮ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তারপরও চাষিদের আউশ আবাদে আগ্রহ নেই। আর এর প্রধান কারণ ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া। তবে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে আশা করছে এ বিভাগ। ধান রোপনের ব্যস্ত কৃষকরা।  ছবি: বাংলানিউজজেলাটির গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের চাষি আতাউল ইসলাম, তমসের মিয়া ও সবুজ হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার চাষিদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান কিনতে চাইলেও রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে তা আর হচ্ছে না। আমরা আমাদের উৎপাদিত ধান সরকারকে ন্যায্যমূল্যে দিতে পারিনি। ধান বিক্রি করতে চাইলে নানাভাবে হয়রানি শিকার হতে হয়। অথচ এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগীরা ধান বিক্রি করছেন।

তবে এ নিয়ে কৃষিবিদ ড. আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ধানের দাম নির্ধারণ করা সরকারের উচ্চ মহলের কাজ। কৃষকরা তাদের ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় তারা অন্যান্য লাভজনক আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। খাদ্য উদ্বৃত্ত এ জেলায় ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও অন্যান্য ফসলে সেটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

চাষিদের কাছ থেকে সরকার সরাসরি ন্যায্যমূল্যে বেশি পরিমাণ ধান কিনলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে। তাই ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদ্যোগী হবে- এ প্রত্যাশায় জেলার সব কৃষক।

বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।