এদিকে বন্যায় মাছ বের হয়ে যাওয়ায় পথে বসেছেন অনেক পুকুর মালিক। জামালপুরের সিংহভাগ মাছচাষ হয় বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নে।
বাট্টাজোড়ের পুকুর মালিক শহিদুল্লাহ চারটি পুকুরে মাছচাষ করেন। মৎস্য চাষই তার একমাত্র পেশা। এবারের বন্যায় তিন দফায় তার পুকুর থেকে মাছ ভেসে গেছে। এতে তার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা।
একই এলাকার মাছ চাষি আব্দুল্লাহ সওদাগর। তিনি স্থানীয় একজনের কাছ থেকে বাৎসরিক দুই লাখ টাকা দিয়ে চারটি পুকুর ভাড়া নিয়ে মাছচাষ করেন। মাছচাষ বাবদ এ পর্যন্ত তিনি প্রায় আট লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু, বন্যার পানিতে তার পুকুরগুলোর সব মাছ ভেসে গেছে। এখন সব পুকুর মাছ শূন্য।
একই কারণে এলাকার জাহিদুল, কালাচান, খোরশেদ, রফিকুল, মোস্তুফা, মাহি বেগম, হুনুফা, বিল্লালসহ প্রায় শতাধিক মাছ চাষিদের চোখে-মুখে এখন শুধুই হতাশা।
জামালপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে জানান, এবারের ভয়াবহ বন্যায় প্রায় সাত হাজার পুকুরের মাছ, অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ টাকার হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, বন্যায় পানির উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে অনেক পুকুরের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। অবকাঠামো ও পুকুর থেকে মাছের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করেই এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষি ও পুকুর মালিকদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে বলেও জানান মৎস্য কর্মকর্তা ড. আব্দুল মজিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এসআরএস