জানা যায়, বোরো মৌসুমের ধানের মূল্যহ্রাসে উৎপাদন খরচ মিলছে না তাদের। ফলে কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে মূলধন হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, পঞ্চগড়ে এবার ১ লাখ ৫ হাজার ৯১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। এর মধ্যে চারভাগের একভাগ জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়ে গেছে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার দশমাইল এলাকার ধান চাষি অরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ১ বিঘা জমিতে আমন চাষে খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এদিকে ধানের মূল্য না থাকায় আমরা নিঃস্ব হয়ে পড়ছি। তবে এবার ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার আশায় নতুন করে আমন ধান রোপণ করছি।
আব্দুল জলিল নামে আরেক চাষি জানান, বর্তমানে কামলাসহ ধান চাষে সব সামগ্রীর দাম বেড়েছে। কিন্তু এখনো নেমে আছে ধানের মূল্য। এর পরেও এবার ধানের সঠিক মূল্য পাওয়ার আশায় চাষ করছি। আশা করি সরকার এবার আমাদের দিকে একটু নজর দিবেন।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির পানিতে আমন চাষ হওয়ায় বোরোর তুলনায় উৎপাদন খরচ কম হবে। সেচের কোনো সমস্যা থাকবে না। তাই চাষিদের লোকসানের ঝুঁকি কম থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এসএইচ