আবার অনেকেই খড় ও মাটি দিয়ে তৈরি করতো কুঠি। এসব মঠকা বা কুঠিতে ধান কিংবা চাল সংরক্ষণ করা হতো।
জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মজিবর রহমানের বাড়ির উঠানে দেখা মিলল একটি কুঠির। তিনি এখনও কুঠিতে ধান-চাল সংরক্ষরণ করে থাকেন।
প্রবীণরা জানান, এক সময় গ্রাম-গঞ্জের মানুষ মটকা বা কুঠির ব্যবহার করলেও এখন তা আর তেমন চোখে পড়ে না। কারণ ওই সময় জনসংখ্যা কম ছিল। বাড়িঘর বেশির ভাগই ছিল মাটির তৈরি। ওই সময় গৃহস্থরা এখনকার মত ধান চাল বিক্রি করতো না। ফসল উৎপাদন ছিল কম। বর্তমান সময়ে নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হচ্ছে। গৃহস্থরা উৎপাদিত ফসল মাঠ থেকে ঘরে না তুলেই বাড়ির বাইরে থেকেই ব্যবসায়ীদের ঘরে দিয়ে আসছে। ফলে এখন ধান সংরক্ষণের জন্য ওইসব কুঠি বা মটকার ব্যবহার গৃহস্থদের তেমন প্রয়োজন হচ্ছে না।
তাছাড়াও এখন ইটের তৈরি বাড়িঘরের সংখ্যা বেড়েছে। শহরের মত করে গ্রামগঞ্জেও তৈরি করা হচ্ছে বাড়িঘর। ওইসব বাড়িঘরে গৃহস্থরা খাবার জন্য শুধু চাল সংরক্ষণ করে থাকে। সেটাও করে থাকে লোহার বা প্লাস্টিকের তৈরি ড্রামে। কালের বিবর্তনে বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন ঘটায় এবং ফসল উৎপাদনের ধরনের পরিবর্তন হওয়ায় সেগুলোর ব্যবহার না থাকায় এখন বিলুপ্তপ্রায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এসএইচ