তিনি ৫ কাঠা (৮ শতক) জমিতে আম্রতা জাতের এই তরমুজের চাষ করেন। অসময়ে উৎপাদন হওয়ায় এ তরমুজ বিক্রি করে ভাল দামও পেয়েছেন তিনি।
এদিকে সফল এ কৃষককে উৎসাহ দিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে তার তরমুজের মাঠ পরিদর্শন করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মঞ্জুরুল হুদা।
আফতাব আলী জানান, অসময়ে চাহিদা থাকায় ক্রেতারা মাঠ থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, ৫ কাঠা (৮শতক) জমিতে তরমুজ চাষ করতে তার মোট খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। খরচের থেকে যে লাভ হয়েছে তাতে বেজায় খুশি আফতাব। লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তিনি জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে এবার মাধুরী জাতের তরমুজের বীজ বপন করেছেন ৭ কাঠা জমিতে। সেপ্টেম্বরের ৩য় সপ্তাহ নাগাদ খাবার উপযোগী হবে এ তরমুজ। মাধুরী জাতের তরমুজ চাষে আরও বেশি লাভ করবেন বলে আশা করছেন তিনি। অন্যান্য কৃষকদেরও এ তরমুজ চাষের আহ্বান জানান তিনি।
কৃষিবিদ মো. মঞ্জুরুল হুদা জানান, চাষি আফতাব আলী জুনের প্রথম সপ্তাহে আম্রতা জাতের তরমুজের বীজ বপন করেন। বীজ বপনের আগে জমিতে চাষ-মই এবং সার দিয়ে জমিটি ৪ ফুট চওড়া পলিথিন মাচা দেন এবং বেড ও ড্রেন তৈরি করেন। এরপর ৫ বাই ৩ ফুট পর পর বীজ বপন করে যত্ন সহকারে পরিচর্যা করতে থাকেন। পরবর্তীতে গাছ একটু বড় হয়ে উঠলে বাঁশের বাতা এবং সুতা দিয়ে মাচাও তৈরি করেন। ২ মাসের মাথায় তার ফল খাবার উপযোগী হয়ে যায়। অসময়ের এ তরমুজ খেতে বেশ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় ভোক্তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হবে এ তরমুজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
আরএ