বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় ও সহজলভ্য একটি ফল হচ্ছে মাল্টা। এ ফলটি সারা বছরই পাওয়া যায়।
মাল্টা চাষ করে সফল হয়ে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঘোড়াঘাট উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা কাজী আবু সায়াদ চৌধুরী। তার বাগানে থাকা প্রত্যেক গাছেই ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা।
সায়াদ চৌধুরীর বাগানে শতাধিক মাল্টা গাছ রয়েছে। শুধু তাই নয়, মাল্টার পাশাপাশি তার বাগানে আরও রয়েছে লেবু, পেঁপে ও লিচু গাছ। কাজী আবু সায়াদের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার বেকার যুবকরাও ঝুঁকছেন মাল্টা বাগান গড়ে তোলার দিকে।
২০১৭ সালে আগস্টে ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উপজেলার পালশা ইউনিয়নের বিলপাড়া গ্রামে পৈত্রিক দেড় একর পরিমাণ পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ের পশ্চিম পাশের দুই বিঘা জমিতে মাল্টা গাছের (বারি-১) চারা রোপণ করেন কাজী আবু সায়াদ চৌধুরী। প্রায় দুই বছরেই মাল্টা গাছে ফল ধরেছে। বাগানে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন সাইজের মাল্টা। সবুজ পাতার আড়ালে কিংবা পাতা ঝরা ডালেও ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা।
মাল্টাচাষি কাজী আবু সায়াদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। তিনি জানান, প্রথম গাছে মাল্টা ধরার পর থেকে ফল চাষের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন জাগে তার। এখন চলছে স্বপ্ন পূরণের পালা। স্থানীয় কৃষকরা এসব ফলমূল চাষে এগিয়ে এলে মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের চাহিদা মেটানো সম্ভব। ফলগুলো সুমিষ্ট হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে মাল্টা ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি কেজি মাল্টা ১১০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঘোড়াঘাটসহ দিনাজপুর জেলায় ধান চাষের পাশাপাশি মাল্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ধান উৎপাদনের চেয়ে মাল্টা চাষে ১০ গুণ বেশি লাভবান হতে পারে এ অঞ্চলের কৃষক।
‘কম খরচে ফলজ বাগান তৈরি করে এখানকার কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
এসএ/