শনিবার (২৬ অক্টোবর) বগুড়ার কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রোপা আমনের সমারোহ। দানা পুষ্ট ও পাক ধরেছে প্রায় সব জমির ধানেই।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, দু’দিনের বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু পরিমাণ অনেকটাই কম। কৃষি বিভাগের সব উপজেলার কর্মকর্তারা এ বিষয় পর্যবেক্ষণ করছেন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে টানা বৃষ্টি ও বাতাসে বগুড়ার ১২টি উপজেলায় চলতি রোপা-আমনের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব উপজেলার কৃষক ও কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা যায়।
শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের রানীরহাট এলাকার কৃষক আব্দুল বারী বাংলানিউজকে জানান, তিনি প্রায় ১৭ বিঘা জমিতে রোপা-আমন চাষ করেছেন। সপ্তাহ খানিক সময় পেলে ধান কাটা শুরু করতেন। কিন্তু বৃষ্টি ও বাতাসে অনেক ধান মাটিতে পড়ে গেছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার আব্দুস সাত্তার জানান, তিনি প্রায় ২২ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। এরমধ্যে কিছু জমির ধান ঘরে তুলেছি। সপ্তাহ খানিক সময় পেলে বাকি জমির ধানও ঘরে তুলতে পারতেন। কিন্তু দু’দিনের বৃষ্টিতে ধান মাটিতে হেলে পড়েছে।
আজাহার উদ্দিন, তমিজ মিয়া, আব্দুল খালেক, সুজাব আলীসহ একাধিক কৃষক জানান, এবার উৎপাদিত ফসলের ভালো দাম পাবেন-এমন আশা তাদের। কিন্তু গত দু’দিনের বৃষ্টি ও বাতাস তাদের সেই আশা ভেঙে দিয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার পরপরই জেলার সবগুলো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা তাদের এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম। তবে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ আরও পড়ে জানা যাবে। তার তথ্য মতে, জেলায় মোট ৩০০ হেক্টর জমির ফসল বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে মাটিতে হেলে গেছে। চলতি মৌসুমে এ জেলায় প্রায় ১ লাখ ৮২ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষ হয়েছে। আর সপ্তাহ দুই-একের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সমস্যা হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
কেইউএ/ওএইচ/