বর্তমানে পেঁপের বাজার দর একটু কম হলেও ইতোমধ্যেই চাষিরা বিঘা প্রতি ৬০-৭০ হাজার টাকা ঘরে তুলে ফেলেছেন। একইসঙ্গে উচ্চফলনশীল পেঁপের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এ জেলার চাষিদের মধ্যে দিন দিন ফলটি চাষের আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় পেঁপের ফলন খুব ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক চাষি উৎপাদিত পেঁপে বিক্রি করে ভালো আয় করেছেন। এছাড়া এখানকার উৎপাদিত পেঁপে এখন জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায়ও যাচ্ছে।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক সাহাজুল ইসলাম ও বারেক আলী বাংলানিউজকে বলেন, এবার পেঁপে চাষে বিঘা প্রতি চাষিদের খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। যেখান থেকে এখন পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বিক্রি হয়ে গেছে।
সাহাজুল ইসলাম বলেন, গত বছর ১৭ কাঠা জমিতে পেঁপের চাষ করেছিলাম। ফলন ভালো ছিল। দামও ছিল ভালো। তাই এ বছর প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে পেঁপের চাষ করেছি। ধান-পাট বা অন্যান্য চাষে আমরা লসের মুখ দেখছিলাম। তাই কয়েক বছর ধরে পেঁপে চাষ করছি।
মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে পেঁপে চাষ করছি। অন্যান্য ফসল চাষ করে যেখানে লোকসান হচ্ছে, সেখানে বাণিজ্যিকভাবে পেঁপের চাষ করে লাভ করছি। তাই এখন থেকে আরও বেশি ফলটি চাষ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম সাহাবুদ্দীন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, পেঁপের উৎপাদন বাড়াতে মাঠপর্যায়ে চাষিদের রোগ-বালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। এছাড়া জেলাটির মাটি পেঁপে চাষের জন্য উপযোগী। বাণিজ্যিকভাবে তা চাষ করে সফলতা পেতে পারেন সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০০, ২০১৯
টিএ