সরেজমিনে সবজির হাট ঘুরে, ফুলকপি, পাতাকপি, শিম, লাউ, পেঁপে, আলু, মিষ্টি ও কুমড়াসহ বিভিন্ন প্রকারের শীতকালীন সবজির দেখা মেলে।
লক্ষীকান্দর গ্রামের কৃষক সুজন মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে সবজির চাহিদাও বেশি, দামও বেশি।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর মাগুরা সদরে ১২৭০ হেক্টর, শ্রীপুর ৬০০ হেক্টর, শালিখা ৩৫০ হেক্টর, মহম্মদপুরে ৪৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। মোট সবজির আবাদ হয়েছে ২৬৫০ হেক্টর জমিতে।
আঠারোখাদা ইউনিয়নের সবজি চাষি রহমত গাজী বাংলানিউজকে বলেন, সবজি চাষের জন্য প্রয়োজন অনুকূল আবহাওয়ার। এবার সেটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল। তবে শেষ দিকে একটু বেশি বৃষ্টি হওয়ায় সবজি উৎপাদন তেমন ভাল হয়নি। বর্তমানে সবজির আবাদ ভালো হলেও দাম বেশি। তবে যা উৎপাদন হয়েছে এতে করে স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলাগুলোতে আমদানি করা হচ্ছে। তাই সবজির দাম প্রতিনিয়ত কমছে।
রিকশা চালক শিহাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি সারাদিন রিকশা চালিয়ে ৫-৬শ’ টাকা আয় করি। বাজার করতে গেলে এক পোয়া পেঁয়াজ কিনতে গেলে অন্য বাজার করতে পারি না। তাই পেঁয়াজ ছাড়া বাজার করেছি। তবে সবজি একটু কিনেছি।
সবজির আড়তদার বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালীন সবজির মধ্যে লাউ প্রতি পিস আকার ভেদে ৩০-৬০ টাকা, বেগুন প্রতিকেজি ৩৫-৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, পালং শাক প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, লাল শাক ২৫ টাকা কেজি, পেঁপে ১০ টাকা কেজি।
মাহাবুর হোসেন নামে এক সবজি বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, এ বছর ২৩ শতক জমিতে লাউ ও বেগুন চাষ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে দাম বেশ পেয়েছি। অনেক সময় সবজি উঠানোর পর জমিতে ফেলে রাখা সম্ভব হয় না। আবার ঘরে মজুদ করে রাখাও অসম্ভব হয়। তা সবজি পচে যাওয়ার ভয়ে বিক্রি করা ছাড়া কৃষকের কোনো উপায় থাকে না।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, চলতি শীত মৌসুমে জেলায় সাড়ে ২৬৫০ হেক্টর জমিতে রকমারি সবজির চাষ হয়েছে। সবজির বাম্পার ফলন হওয়ার চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এনটি