জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ হবে সবচেয়ে বেশি। এ উপজেলায় বোরো চাষে ১২ হাজার ৯২০ হেক্টর জমি প্রস্তুত করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন স্থানে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ স্থানে আবাদের জন্য জমি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
লক্ষ্মীপুর কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, সঠিক সময়ে বোরো ধানের চারা রোপণ করলে ফলন ভালো হয়। চারা এলোমেলোভাবে না লাগিয়ে সারিবদ্ধভাবে লাগাতে হয়। সুষম সার ব্যবহার করলে মাটির উর্বরতা বাড়ে। সাধারণ ইউরিয়া সারের পরিবর্তে গুটি ইউরিয়া সার ব্যবহার করলে অধিক কার্যকর ফল পাওয়া যায়। আধুনিক পদ্ধতিতে ধানের আবাদ করলে অধিক ফলন পাওয়া যায়।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগ কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করছে। পোকা দমনে অধিক পরিমাণে কীটনাশক ওষুধ ব্যবহার করে চাষিরা। এতে প্রকৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই আবাদকৃত জমিতে ‘পাচিং’ পদ্ধতি অবলম্বন করে পোকা-মাকড় দমন করা সম্ভব। এতে ফসল উৎপাদন খরচ কম পড়ে। বর্তমান কৃষকরা হাইব্রিড (উন্নত ফলনশীল) জাতের ফসলের দিকে ঝুঁকছেন। এ জাতের ধানের চারা এক-দু’টি করে লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
আরবি/