ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কিত কৃষক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কিত কৃষক

মাগুরা: সোনালী ধানে ভরে উঠেছে বিস্তৃর্ণ এলাকা। হাড় ভাঙাখাটুনির পর ফলন ভাল হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। চলতি মৌসুমে মাগুরা সদর, শ্রীপুর, শালিখা, মহম্মদপুরসহ চার উপজেলায় বোর ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে।

মাগুরায় এ বছর বোর ধানের আবাদ হয়েছে ৩৭ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে। চাল উৎপাদন হবে ১ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন।

লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন চাল।  

তবে সারাদেশের মতো মাগুরায় দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। চাষিরা জানায়, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে পাবনা, গোপালগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে শ্রমিক আসতে পারছে না। এ কারণে বোর ধান দ্রুত ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্র জানায়, মাগুরা এ বছর বোর ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় খাদ্য সংকট দেখা দেবে না।

শালিখা উপজেলা ধনেস্বরগাতী গ্রামের ধান চাষি বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে বোর ধান আবাদ করেছি। ফলন ভাল হয়েছে। ধান ঘরে তোলা নিয়ে রয়েছি দুশ্চিন্তায়। আকাশে মেঘ দেখলে জানে পানি থাকে না। করোনার ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। শ্রমিক পাচ্ছি না। এরমধ্যে কিভাবে ধান ঘরে তুলব?

ঘঘি ইউনিয়নের হাসেম তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয়জন। আমি ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। সারাবছর খাওয়া, বাজার, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া খরচ এই ধানের উপর থেকে আসে। সার, ওষুধের দোকানে বাকি রয়েছে। ধান কেটে দেনাগুলো পরিশোধ করবো। করোনার ভয়ে তো ঘর থেকে বের হতে পারছি না। কি করে দেনা পরিশোধ করবো।

হতাশার সুরে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ধানগুলো যদি ঘরে তুলতে না পারি না তাহলে ঘরে পড়ে মরা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসার অফিসার জাহিদুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, মাগুরায় এ বছর ১০টি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা হবে। এছাড়াও ১৮টি রিপার মেশিন রয়েছে। জেলা প্রশাসকসহ সবস্তরের সমম্বনয়ে এ আপদকালীন সময় মোকাবেলা করতে পারব। আমরা কৃষকদের পাশে সব সময় আছি। আশা করি সঠিক সময়ের মধ্যে ধান কৃষকদের ঘরে তুলে দিতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।