জানা যায়, উপজেলার বোতলাগাড়িতে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের পাশে তিন ফসলি জমিতে একেবারে পাশাপাশি তিনটি ইটভাটা গড়ে ওঠে। এসব ইটভাটার কারণে উঠতি ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত পুড়ে গেছে।
ইউনিয়নের মাঝাপাড়ার কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৬) বলেন, ৪৫ শতক জমি বর্গা নিয়ে ইরি-বোরো চাষ করেছিলাম। ইতোমধ্যে জমির মালিককেও পুরো টাকা পরিশোধ করেছি। ক্ষেতের ধান পুড়ে যাওয়ায় কি কররো ভেবে পাচ্ছি না।
একই অবস্থা এলাকার সরকারপাড়ার কৃষক আইয়ুব আলী, আব্দুল মালেক, বাবুল হোসেন, জিয়াউল হকসহ অনেকের।
সেখানে অবস্থিত আরএমবিএস ব্রিক্সের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা ফিরোজ বলেন, আমার ইটভাটার ধোঁয়ায় ওই সব জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কারণ আমার ইট পোড়ানো অনেক আগেই শেষ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করলেই সত্যতা মিলবে কোন ভাটার আগুনে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহিনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ইউএনও বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। আসলে ইটভাটার ধোঁয়ায় নাকি অন্য কারণে ধান পুড়ে গেছে তা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ঘটনার বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন। তদন্তে ইটভাটার কারণে ধান ক্ষেত নষ্ট হয়েছে থাকলে ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
এনটি