নীলফামারী: আলু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর কৃষকরা। ধান ওঠার পর পরই ঢাকাইয়া জাতের আলু আবাদ করেছেন নীলফামারীর জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জের কৃষকরা।
আলু ক্ষেতের নিবিড় পরিচর্যায় কাজ করছেন কৃষক। কেউ কীটনাশক স্প্রে করছেন, কেউবা নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউবা সেচ কিংবা কোদাল দিয়ে মাটি উঁচু করে আলুর গোড়া বেঁধে দিচ্ছেন। দিনরাত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক আগামির লাভের আশায়। সরেজমিন ঘুরে এই চিত্র পাওয়া যায়।
জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, আবাদের শুরুতে আলু নিয়ে ভালেই ছিলাম। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় ঘন কুয়াশার কারণে আলুতে রোগবালাই বেশি হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই ওষুধ স্প্রে করতে হচ্ছে। দিন হাজিরায় একজন শ্রমিককে ৪০০ টাকায় আলু ক্ষেতের পরিচর্যা করাতে হচ্ছে।
মাঠে কাজ করছেন সুরেন্দ্র নাথ রায়। তিনি বলেন, সকালের কুয়াশা মাড়িয়ে আলু ক্ষেতে কাজ করে থাকি আমরা। আলুতে লাভ হওয়ায় এবারে কৃষকদের আলু আবাদে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
নীলফামারী কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসিন রেজা রূপম জানান, নীলফামারী জেলায় ২২ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আবাদ করা হয়েছে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে। এতে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
তিনি জানান, জেলায় গ্রানুলা, সাগিতা, ক্যারেজ, ষাইটা, লাল পাকড়ি, রোমানা, ডায়মন্ডসহ দেশি জাতের আলু আবাদ করেছেন কৃষকরা। বর্তমানে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডা কৃষকদের চিন্তায় ফেলেছে। তবে কৃষিবিভাগ ও মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
আরএ