বরিশাল: গত প্রায় ৫ দিন ধরে বরিশালে বৃষ্টির কোনো দেখা নেই। অগ্নিমূর্তি ধারণ করে আছে সূর্য।
বরিশাল নগরসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর সদরগুলোর মোড়ে মোড়ে হরদমে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। আবার কোথাও কোথাও ভ্যানযোগে পাড়া-মহল্লাতেও ঘুরে ঘুরে তাল শাঁস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
বরিশালের আগৈলঝাড়ার গৈলা গ্রামের তাল শাঁস বিক্রেতা আবেল বৈরাগী জানান, স্থানীয়ভাবে এই তালকে পানিতালও বলা হয়। প্রতিবছর মধু মাসে আগৈলঝাড়াসহ আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পাইকারী দামে তাল শাঁস ক্রয় করে এনে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। সেক্ষেত্রে গাছ থেকে পাড়া এবং বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজার থেকে আনা পর্যন্ত সব খরচই তাকে গুনতে হয়। আর গাছ মালিক তো তাল কেটে নামানোর আগেই টাকা পেয়ে যান।
তাল শাঁস ক্রেতা প্রবীর বিশ্বাস ননী বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলায় উপজেলার অসংখ্য তাল গাছ বিনষ্ট হয়ে গেছে। আর সরকারের উদ্যোগে নতুন করে যে তাল গাছ লাগানো হয়েছে সেগুলো এখন অনেক ছোট, আরো কয়েক বছর পর সেগুলোতে ফল দেখা দেবে।
তিনি বলেন, এবারে ফলন কমের কারণে কিছুটা সংকটও রয়েছে তালের। তবে তালের শাঁসের দাম বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম ও আজাদ রহমান বলেন, তাল শাঁসের সংকটের কিছুটা চড়া মূল্যে এ মৌসুমী ফল বিক্রি করতে হচ্ছে। শহর এলাকায় তালের প্রতিটি শাঁস (যেগুলোকে স্থানীয়ভাবে চোখ বলা হয়) ৫-৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একটি তিনচোখের পানিতাল ১৫-২৪ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলে বহন খরচার উপর নির্ভর করে সেটি ১০-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরম বাড়ার কারণে এখন তাল শাঁসের বিক্রি বেশ ভালো। কেউ একটা দুটা কিনছেন, আবার অনেক সৌখিন ক্রেতা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য পীর (একবোটা) হিসেবে তাল ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।
আর ক্রেতারাও বলছেন, গত বছরের থেকে এবারে তাল শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি। তারপরও মৌসুমি ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহের কমতি নেই তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
এমএস/এএটি