গাইবান্ধা: জন্মানোর দুই সপ্তাহ পেরিয়েছে মাত্র। এ বয়স থেকে নিয়মিত ৫০০ থেকে ৭৫০ মিলিলিটার দুধ দিচ্ছে একটি বকনা বাছুর!
এমনি ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের কিশামত সর্বানন্দ গ্রামে কৃষক আফছার আলীর খামারের।
রোববার (১০ অক্টোবর) বিকেলে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় বাছুরটির মালিক কৃষক আফছার আলী সঙ্গে। তিনি বলেন, ৪০ দিন আগে বাছুরটি স্বাভাবিক প্রসব করে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী। জন্মের পর থেকে নিয়মিত গরু-বাছুরের যত্ন করা হচ্ছিল। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে দেখতে পাই ১৫ দিন বয়সের বাছুরটির ওলান ফুলে গেছে। সাধারণত গরুর ওলানে দুধ জমলে যেমনটা হয়ে থাকে তেমন। পরে পশু চিকিৎসককে এনে বিষয়টি দেখানো হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না মেলায় বাছুরটির ওলানে হাত দিয়ে দুধ দোহনের মতো টানি। সে সময় দেখা যায় ওলান থেকে দুধ বের হচ্ছে। প্রথমে অবাক হলেও পরে নিয়মিত বাছুটির দুধ দোহন করা শুরু করি। প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭৫০ মিলিলিটার দুধ দিচ্ছে বাছুরটি।
আফছার আলী আরও বলেন, কৃষি কাজের পাশাপাশি ছয়টি গরু লালন-পালন করে স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চলে। গাভিটি প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ লিটার দুধ দিচ্ছে। এর সঙ্গে বাছুরের দুধ দেওয়ার বিষয়টি বেশ উৎসাহিত করছে।
প্রতিবেশী শাহ আলী ও শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ ধরনের ঘটনা আগে দেখা কিংবা শোনা যায়নি। সে কারণে উৎসুক সব বয়সী মানুষজন প্রতিদিন আফছার আলীর বাড়িতে ভিড় করছেন বাছুরটিকে একনজর দেখার জন্য।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রেবা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বকনা বাছুরটির স্বাস্থ্য বর্তমানে ভালো আছে। ৪৫-৫০ কেজি ওজনের এ বাছুরের দুধও স্বাভাবিক আছে। তবে বাছুরটির দুধ আসা বন্ধে চিকিৎসা প্রয়োজন। নতুবা বাছুরের স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা রয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফজলুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, হরমোনজনিত কারণে এমনটা হতে পারে। এ ধরনের ঘটনা সচরাচর ঘটে না।
বাছুরটি থেকে পাওয়া দুধ বিষয়ে তিনি বলেন, রঙ-স্বাদ ও গুণগত মান ঠিক থাকলে যে কেউ দুধ পান করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
এসআরএস