ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

কৃষি প্রণোদনার মালামাল বিক্রি, ২ জনকে শোকজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২১
কৃষি প্রণোদনার মালামাল বিক্রি, ২ জনকে শোকজ কৃষি প্রণোদনার মালামাল বিক্রি, ২ জনকে শোকজ

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির নলছিটিতে উপজেলা কৃষি অফিসের গোডাউনে মজুত করে রাখা কৃষি প্রণোদনার মালামাল অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র রায়ের নির্দেশে মোকাদ্দম মো. ছালাম গাজী এসব মালামাল বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।

এ ঘটনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি ওই দু’জনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন।  

সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

এদিকে কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কৃষি অফিসের গোডাউনে থাকা কৃষি প্রণোদনার বিপুল পরিমাণ সার ও বীজ, কয়েকটি ড্রাম, ৪-৫টি নেট জাল ও ৫-৬ সেট ফিতা পাইপ উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের এক কৃষকের কাছে অবৈধভাবে বিক্রি করেন সংশ্লিষ্ট অফিসের মোকদ্দম মো. ছালাম গাজী। এ সময় উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।

গোডাউন থেকে এসব মালামাল বিক্রির ঘটনা দেখে ফেলেন স্থানীয় কয়েকজন দোকানদার। পরবর্তীতে তাদের মাধ্যমে ঘটনাটি জানাজানি হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওইদিন দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি ওই দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
তবে কারণ দর্শানোর নোটিশে তিনি রহস্যজনক কারণে সার ও বীজ বিক্রির বিষয়টি এড়িয়ে যান। এতে অফিস প্রধানের অনুমতি ছাড়া আজিজ নামে কৃষককে ২টি নেট জাল, ১টি ড্রাম ও ২ সেট ফিতা পাইপ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে- কৃষি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নামে-বেনামে কৃষি কার্ড দিয়ে অফিস থেকে প্রণোদনাগুলো উত্তোলন করা হয়। এতে প্রকৃত কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোকাদ্দম ছালাম গাজী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র রায় বলেন, আমি অফিসের পাশে একটি ভবনে ভাড়া থাকি। ওইদিন ভোরে মোকাদ্দম ছালাম গাজী আমাকে গোডাউনের সামনে ডেকে নেন। তবে প্রণোদনার মালামাল ওই কৃষকের কাছে বিক্রি বা দেওয়ার ঘটনায় আমি জড়িত নই।

তিনি আরও বলেন, অফিস প্রধানকে ওইদিনের ঘটনা না জানানোর কারণে আমাকে শোকজ করা হয়েছে। যথা সময়ে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়া হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি বলেন, ওই দু’জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের  জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২১
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।