ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

সোনাগাজীতে সিত্রাংয়ের ফসলের ক্ষতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
সোনাগাজীতে সিত্রাংয়ের ফসলের ক্ষতি ঝেড়ো হওয়ায় ধান গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আমন ধান ও শাক-সবজিসহ ফসলের ক্ষতিসাধিত হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝোড়ো হওয়ায় ধান গাছ হেলে পড়ে পানিতে ডুবেছে।

বন বিভাগের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২০২১ ও ২০২২ সালে রাস্তার ধারে লাগানো ২৮ হাজার নতুন চারা গাছসহ বড় গাছের ডালপালা ভেঙে গেছে।  

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলার ২০ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হলেও দুর্যোগে ৬৫ হেক্টর জমিতে ধানগাছ হেলে পড়েছে। ২৫০ হেক্টর জমিতে চাষ করা শিম ও লাউ জাতীয় সবজির মধ্যে ২ হেক্টর নষ্ট হয়েছে।  

তবে কৃষি বিভাগের তথ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ফসলি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার নদী উপকূলীয় এলাকায় ফসলি জমির এক-তৃতীয়াংশ আমন ধান গাছ হেলে পড়ে পানিতে ডুবে রয়েছে। রবি মৌসুমের (শীত) জন্য প্রস্তুতকৃত জমি ও আগাম চাষ করা শীতকালীন শাকসবজিও পানিতে ডুবেছে। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, এর পরিমাণ ৫ হেক্টরের অধিক।  

চর খোয়াজ এলাকার আতিকুর রহমান নামের এক কৃষক জানান, চাষকৃত আমন ধানের দুই ভাগ হেলে পড়ে পানিতে ডুবেছে।  এছাড়া শীতের জন্য প্রস্তুত করা জমিও পানিতে ডুবেছে।  

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার প্রতাপ চন্দ্র নাথ  জানান, বর্তমানে ধান গাছে ফুল থাকায় বাতাসে ও পানির নিচে পরাগরেনু ঝরে পড়বে। আমন চাষ করা বেশির ভাগ জমির ধান গাছ হেলে পড়েছে।  

হেলে পড়া ধানের ফলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধান গাছ হেলে পড়লে নানা সমস্যা তৈরি হয়ে ফলন অর্ধেক পাওয়া যায়। এর মধ্য ফুল নষ্ট হয়ে যায়, ধান কাটায় সমস্যা, ধান ঝরে যাওয়া ও ফলন ইঁদুরে কাটা সমস্যা অন্যতম। প্রতিবার দুর্যোগে ধানের এক-তৃতীয়াংশ ফলন নষ্ট হয় এবং শাকসবজির দুই-তৃতীয়াংশ চাষাবাদ নষ্ট হয়ে যায়।  

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা জানান, উপকূল অঞ্চলের বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্লাবিত হয়েছে। এর কারণে ১শ’ একর মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক কেটি টাকার ওপরে হতে পারে। জেলেপাড়া, ধান গবেষণা ও চরদরবেশসহ উপকূল অঞ্চলের চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক হিসেবে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।  

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের গাছগাছালির ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধা।

তিনি জানান, মতিগঞ্জ-কেরামতিয়া সড়কের ৪ কিলোমিটার, কাজীরহাট-তাকিয়াবাজার সড়কের ৪ কিলোমিটার এবং নান্টুর দোকান থেকে মাওলানা ব্রিজ সড়কের ২০ কিলোমিটারজুড়ে লাগালো ২৮ হাজার চারা গাছ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এখনও ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করে দেখা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সম: ১০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।