ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

বাংলা সাহিত্য বিদেশি ভাষায় অনুবাদে উদ্বুদ্ধ করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
বাংলা সাহিত্য বিদেশি ভাষায় অনুবাদে উদ্বুদ্ধ করতে হবে ক্রেতা-দর্শকে মুখরিত অমর একুশে বইমেলা। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: আমাদের দেশে বিদেশি সাহিত্যের বাংলা অনুবাদ যত হয়েছে সে তুলনায় বাংলা সাহিত্যের বিদেশি ভাষার অনুবাদ কম হয়েছে। তথাপি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস লেখা হলে সেখানে অনুবাদ-সাহিত্যও বিশেষ স্থান পাবার দাবি রাখে।

দেশি অনুবাদকের পাশাপাশি বিদেশি অনুবাদকদেরও বাংলা ভাষার সাহিত্য বিদেশি ভাষায় অনুবাদের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৪ফেব্রুয়ারি) বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ এবং বিদেশি সাহিত্যের বাংলা অনুবাদ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জি এইচ হাবীব এবং শামসুদ্দিন চৌধুরী।  

আলোচনায় অংশ নেন সম্পদ বড়ুয়া, রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মো. আবু জাফর এবং মাহবুবা রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফকরুল আলম।

প্রাবন্ধিকদ্বয় বলেন, বহুকাল ধরেই সংস্কৃত, আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিস্পানিক, গ্রিক ও লাতিন বহু সাহিত্যের বাংলা অনুবাদ আমাদের পাঠের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে আসছে। বাংলা ভাষায় অনুবাদ এবং বাংলা নানান রচনা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদের ক্ষেত্রে ইংরেজি একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। অথচ এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে সাহিত্য অনুবাদকে যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা যায়নি। যদিও বিদেশি সাহিত্যের অনুবাদ বিপুল পাঠকের চাহিদাকে পূরণ করে চলেছে। আড়ালে থেকেই অনুবাদ সাহিত্য জাতীয় সাহিত্যের পুষ্টিলাভে অপরিহার্য ভূমিকা রাখছে।

সভাপতির বক্তব্যে ফকরুল আলম বলেন, বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে অনুবাদের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য দক্ষ অনুবাদক তৈরি করার জন্য আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি অনূদিত গ্রন্থ বিদেশি পাঠকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন হাসান মাহমুদ, আফতাব হোসেন, মিনার মনসুর এবং আইরীন নিয়াজী মান্না।        

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন ঝর্না রহমান, হাসান হাফিজ, হাসনাত লোকমান, মোশাররফ শরীফ, মাসুদ পথিক এবং শারমীন জাহান মিতু। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী আওরঙ্গজেব আরু, শিমুল পারভীন এবং পারভেজ চৌধুরী।  

এছাড়া ছিল সৈয়দ শরিফুল আলম শফুর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মাতৃভূমি’র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন খুরশিদ আলম, মুর্শিদুদ্দীন আহম্মদ, নবীন কিশোর, সঞ্জয় কুমার দাস, আঞ্জুমান আরা শিমুল, চম্পা বণিক। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন নন্দ দুলাল বড়ুয়া (তবলা), সুমন রেজা খান (কি-বোর্ড), অমিত দাস (গিটার) এবং মনির হোসেন (অক্টোপ্যাড)।  
অমর একুশে বইমেলার ১৪তম দিনে নতুন বই এসেছে ৯৩টি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
এসকেবি/এসএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।