মনমিউজিয়াম
চোখে লেগে থাকে সংরক্ষিত মমির ছায়া,
আটকুঠুরি-নয় দরজা খোলা রেখে
এই সম্মোহন। পেরিয়ে ঘনবন
পাড়ি দিয়ে যায় ঢেউ, আকাশের
সঙ্গী হতে হতে—
বিগত ভুলের সাথে পরিচয়
ছিল যাদের, তারাও সঙ্গী হয় মেঘের-মমির।
কে এমন স্তরে স্তরে সাজিয়েছে পাতা, পরিণয়, পেখম
পদ্মের মৌসুমী সুবাস—
কে এমন যতন করে রেখেছে শো-কেসে
আঙুলের আলো, সনাতনী তাঁতের মসলিন।
দেখতে দেখতে নেমে আসে সূর্যের পলক
সান্ধ্যসঙ্গীতের লয়
ভালোবেসে; মুখর হয় পাখিদের গ্রাম।
বিষাদ নয় সবকিছু,
আছে বৈভবও,
সে তো তোমারই কৃপাধন্য মনমিউজিয়াম।
ফুটপ্রিন্টার
ছাপ রেখে যাচ্ছি। এখানে এসেছিলাম চাঁদের মান
ভাঙাবো বলে, রাখবো বলে হাত
তারাদের চিবুকে। এবং এই কুয়াশাসূর্যকে
জানাবো বলে—
আমার নাম-ধাম, ঠিকানা-নিবাস।
এই ছাপও একদিন প্রিন্টার থেকে ছাপা হয়ে
বেরুবে। কেউ দেখবে, কেউ দেখবে না।
কেউ চিনতে পারবে, কেউ পারবে না।
পদযুগলের মায়ায় সে মাটি নমিত হয়—
আমি সেই কাদামাটিতেই রেখে যাচ্ছি আঁচড়
বৃষ্টির ফোঁটা যা কোনও দিনই পারবে না
মুছে দিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫