দাগবিদ্যা
হাঁটতে হাঁটতে কবে যে শরীর থেকে খসে গেছে
হাঁটার মুদ্রা;
মেরুদণ্ডের খাঁজ থেকে উদ্গত ডানার অঙ্কুর
অঙ্কুরেই ঝরে গেছে, সেই কবে—
কোনও দাগ রেখে যায়নি কেউ।
তথাপি দাগবিদ্যা কী নিদারুণ ভাইটাল দেখ—
বালিয়াড়ির শরীর নিয়ে নিদাগ বাতাসও ভীষণ ব্যস্ত
সমুদ্রঢেউ অযুতবর্ষ মত্ত হয়ে আছে নিঃসঙ্গ উপলখণ্ডে
আর পুরুষ নারীতে,
নারী পুরুষে
কী অপূর্ব দাগ ফেলাফেলির খেলা!
অথচ কী নাদান দেখ আমি,
খুঁজে পাচ্ছি না শরীর থেকে ঝরে যাওয়া সময়ের দাগ।
পরম্পরা
অকস্মাৎ ভিজে গেলে
জলের বিশ্লেষণে
বেড়ে ওঠে আরেক শরীর।
তাই আমরা বারবার অচেনাই থেকে যাই,
বৃষ্টিতাড়িত চেনা বারান্দাগুলোয়...
বারান্দার ঠিক নিচে
ডানা ঝাড়ে ঘন আমাজন;
বালিশের কাছে কিছু ঝড় তাই
বকেয়া রয়ে যায় মৃত্যু পর্যন্ত।
মৃত্যুর ঠিক পাশেই অনন্তের ঠিকানা
দেহকোষ বিভাজিত,
চৌচির!
মেমব্রেম ফেটে গেলে
কোষের অপার মহিমায়
পরম্পরা হানেন
জ্বলে ওঠা তীব্র ঈশ্বর।
রূপ ও রূপক
সবুজ শসার মত
রাত্রি
গাড়িয়ে যায়;
কিছু কষ তার
টুপ্ টাপ্
বেয়ে পড়ে
ঘুমের জানালায়।
জানালার ওপাশে
কিছু পাখির ঘুম ছুঁয়ে
কিছু পাখি,
একা একা
ঘুমের মানচিত্র বানায়
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫