প্রতারক
তুমি জানতে আনখ সমুদ্দূর। বালি লবণের ঝাড় রেখে আসা স্বাদু বেলাভূমি।
অথচ লাল কাঁকড়ার ঝাঁক কখন কেটে গেছে
প্রিয় আবাস ধারকরাতে তুমি জানতে পারোনি।
এলোমেলো শব্দের প্রপাতে অনেক তুলেছো ঝড় আর
ভেঙে দিয়েছো পুতুলের প্রিয় খেলাঘর। প্রিয় মানুষ। প্রিয় গোপনীয়তা।
শক্তহাতে ধরে রাখা পাল ছিঁড়ে যায়। কঠিন মানুষও একদিন ভেঙে যায়।
ছিন্ন ভিন্ন হাত পা মাথা আরক্ত কল্লোল তোলে বাতাসে।
ক্রুদ্ধ ঝড়ে লাটাই ছেঁড়া ঘুড়ি যেন কয়েকটি।
উড়ছে—উ-ড়-ছে আকাশে। অলক্ষ্যে।
হাড়ের একত্রিশটি সন্ধি জোড়া লাগবে কি আর!
কখন যে জেনে গিয়েছিলে এতটা কাঙাল ছিলাম।
দিনে দিনে সমৃদ্ধ করেছো নিঃসঙ্গ, সমুদ্র-হিমাচল।
এখন জমাট বরফ। নির্বাক ধ্যানমৌন।
সূর্য অস্ফুটে ছুঁয়ে যায় শিখর।
ভেতর-নিঃশব্দ, প্রজ্জ্বলন।
পুড়ছে সাধের খেলাঘর, মন, স্বপ্নসৌধ
আরো আরো যা যা ছিল, তার সব।
রেস্টঅব
শূন্যতার গভীরতা জেনেছি তোমায় ভালোবেসে
জেনেছি বুকের ভেতর এখনো বাস করা শত নদীর জল।
সবটুকু জল নিয়ে তোমার দিকে চলা, আর চড়ায় আটকে পড়ে
যেন উদ্বন্ধনে ঝুলছি মৃতবৎ সুশীতল মাছ।
বহুদিন ধরে রাধুনী ছাড়াচ্ছে আঁশ, শান দেয়া বটিতে ঘষে ঘষে।
বুকের ভেতর ঢুকিয়ে দিচ্ছে ড্রাকুলার নখ—তুলে আনছে কলজে, হৃদপিণ্ড।
তারপর ভেজে ভেজে পরম আনন্দে ছেলেপুলে স্বামী নিয়ে মচমচিয়ে খাচ্ছে
আমার হিউম্যান উইংস, থাই আর হৃদপিণ্ডের ঝালফ্রাই।
তোমার জিউভায়ও তখন জল, বুঝি তুমিও চেয়েছিলে আমারই হৃদয়ের ঝালফ্রাই।
তবে আর জল ফেলে কী লাভ? নিয়ে নাও এক জীবনের সবটা হৃদয়।
যেভাবে পারো খেয়ে নিও হৃদয়ের ঝালফ্রাই, স্টিমড্ উইথ ভেসটেবল, কিংবা রোস্ট
শুধু ভেবে দেখো বিনিময়ে দিতে পারো কিনা দুই পেগ মহুয়ার মাতাল ঘ্রাণ,
বাজি রইল প্রেম—রেস্টঅব।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৫