পর্ব ১৯ পড়তে ক্লিক করুন
বিলাতি নারীর ভারতীয় পুরুষভীতি |
সিপাহী বিপ্লবের পরপরই ভারতে অবস্থানরত ইংরেজদের মনে প্রচণ্ডভাবে ভারতভীতি দানা বাঁধতে শুরু করে। বিশেষ করে, ভারতীয় পুরুষ সমাজ নিয়ে বিলাতি মহলে বিভিন্নরকম কানাঘুষা শুরু হয়।
১৮৮০ সালের দিকে কলকাতায় বাঙালি বাবুদের ইডেন গার্ডেনের কাছাকাছি ঘেষতে দেওয়া হতো না এই অজুহাতে যে, তাদের পরনের কাপড়-ধূতি খুবই খোলামেলা। বিলাতি নারীরা খোলামেলা এসব পোশাক দেখে যেন বিব্রত বোধ না করে, সে কারণেই এমন নিষেধাজ্ঞা। ‘সিভিল অ্যান্ড মিলিটারি গেজেট’ নামের অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সংবাদপত্রের সম্পাদক লিখলেন, “অগনিত যৌনতাকাতরদের স্বর্গরাজ্য হলো এই দেশ(ভারত)। ” এককথায়, ভারতীয়দের সম্পর্কে নিজেদের মতো করে মনগড়া তথ্য ছড়িয়ে দিতে বিলাতি সমাজ যেন মরিয়া হয়ে উঠল।
মহারাজার সাথে ফ্লোরি ব্রায়ানের সম্পর্কটা ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব থেকে গভীর প্রণয়ের দিকে গেল। মহারাজা তো, তাই আর দেরি করতে চাইলেন না। ফ্লোরা ব্রাউনকে সরাসারি বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। খবরটা খুব দ্রুত পাটিয়ালার আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ল। শহরের সবাই এই খবরে খুশি। যাক, মাহারাজার পছন্দের তারিফ না করে উপায় নেই। শেষ পর্যন্ত ফিরিঙ্গি মেয়ে মনে ধরেছে! বন্ধুস্থানীয়রা তাকে নিয়ে রঙ্গ-রসিকতা করতেও ছাড়ল না। কিন্তু এমন খবরে আনন্দিত হতে পারল না তৎকালীন বিলাতি সরকার
তৎকালীন বিলাতি সমাজে পরিচিত লেখক মাওদ ডাইভার তার ‘দি ইংলিশ ওমেন ইন ইন্ডিয়া’ গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে সস্তা কেচ্ছা-কাহিনী লিখে বিলাতি মহলে বেশ নাম কুড়িয়েছিলেন। ১৯০৯ সালে প্রকাশিত বইয়ে লেখক লিখছেন, “অনৈতিক কর্মকাণ্ডে এরা(ভারতীয়রা) সবসময় যুক্ত। ” তবে ‘ওমেন অব দ্য রাজ’ বইয়ের লেখক মার্গারেট ম্যাকমিলান মনে করতেন, “ভারতীয়রা যৌনতা নিয়ে বিশেষভাবে উৎসাহী কারণ তাদের ধর্মই তাদের সে শিক্ষা দিয়েছে। হিন্দু ধর্মে অনেক দেবতারা বিভিন্নরকম শারীরিক উত্তেজনাময় ভঙ্গিমায় নারীকে ভোগ করে। তাদের মন্দিরে যে নর্তকী দেবতাদের উদ্দেশ্যে নাচছে সে নিজেও একজন পতিতা। ”
বলার অপেক্ষা রাখে না, ঊনিশ শতকের প্রথম দিকে বিলাতি নারীদের জন্যে প্রকাশিত গাইড বুকগুলোতেও এ নিয়ে বিস্তর লেখা হয়েছে এবং বিলাতি নারীদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাইড বুক এবং বিভিন্ন রকম সস্তা উপন্যাসের কল্যাণে বিলাতি নারীদের ধারণা জন্মায়, ভারতীয় পুরুষ মানেই বিলাতি নারীর প্রতি তাদের রয়েছে লোলুপ দৃষ্টি এবং সুযোগ পেলেই তারা তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়বে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে বিলাতি সাধারণ কেরানী থেকে শুরু করে জেলার প্রধান বিচারক পর্যন্ত এ কথা বিশ্বাস করতে শুরু করে—ভারতীয় পুরুষরা খুব কামকাতুরে এবং তাদের কাছ থেকে বিলাতি নারীরা কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। ১৮৮৩ সালে এলাহাবাদের প্রধান বিচারক এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সংবাদপত্র ‘দ্য ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়া’তে একটি নিবন্ধ লিখেন। সেখানে তিনি বলছেন, “বিষয়টা বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনায় আনা উচিত। ”
বিলাতি নারী জে. আর একারলেকে লেখা এক চিঠিতেও তেমনই আভাস পাওয়া যায়। তিনি জানাচ্ছেন কিভাবে অল্পের জন্যে একটি সাপের কামড় থেকে তিনি রক্ষা পেয়েছিলেন এবং তার জীবন বেঁচে গিয়েছিল তার বাড়িতে থাকা এক ভারতীয় চাকরের সহযোগিতার কারণে। তার ভাষায় “সে আমাকে দ্রুত তার হাত দিয়ে ধরে ফেলে এবং পেছনে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। আর আমি বেঁচে যাই। ” ভারতীয় চাকরের কারণে বিলাতি মেম সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও পরবর্তীতে তিনি ভারতীয় চাকরের ওপর আস্থা রাখতে পারলেন না। জে. আর একারলেকে জানালেন নিজের মনের কথাটা, “চাকরটির ব্যবহার আমি খুব একটা পছন্দ করিনি, কারণ সে আমার হাত ধরেছিল। কিছুদিনের মধ্যেই আমি তাকে কাজ থেকে বিদায় করে দিই। ” বুঝুন, ভারতীয় পুরুষদের প্রতি কী পরিমাণ সন্দেহ তৈরি হলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে!
ঊনিশ শতকের শেষদিক থেকেই বিলাতিদের পাশাপাশি ভারতীয়রাও ‘ইন্ডিয়ান মেডিকেল সার্ভিসে’ যোগ দিতে শুরু করে। বিষয়টা অনেক বিলাতি ভালোভাবে নিতে পারেনি। তাদের সমস্যটা অন্য জায়গায়। বিলাতি নারী যাদি ভারতীয় ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় তাহলে তো আরো বিপদ! ১৯১৪ সালে ‘ব্রিটিশ পলিটিক্যাল অর্গানাইজেশন, দি ইউরোপিয়ান ডিফেন্স এসোসিয়েশন ভারত সরকারকে এই বলে সতর্ক করে যে, বিলাতি নারীদের—বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের—ভারতীয় ‘দ্বিতীয় সারির’ ডাক্তারদের শরণাপন্ন যাতে না হতে হয় সে বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের চিন্তা ভাবনা করা উচিত। জার্নালটির ভাষ্য “এটি কোনো জাতিগত বিদ্বেষ থেকে নয় বরং ডাক্তার এবং রোগীর যাতে কোনো রকম অন্তরঙ্গ সম্পর্ক না ঘটে সেই ভয় থেকে। ”
সঙ্গী হিসেবে বিলাতি পুরুষদের প্রাথমিক পছন্দ বিলাতি নারী। তবে বিলাতি নারীসঙ্গ একান্তই না পাওয়া গেলে ইউরোশিয় বা ভারতীয় নারীসঙ্গও তাদের অপছন্দের ছিল না। আগেই উল্লেখ করেছি, বিলাতি পুরুষদের অনেকেই ভারতীয় বা ইউরোশিয় নারীদের বিয়ে করেছিলেন, কেউ কেউ রক্ষিতা করেও রেখেছিলেন। ধীরে ধীরে বিলাতি নারীদের ভারত আগমনে বিলাতি পুরুষদের সে অভাব অনেকটাই দূর হয়ে যায়। রেডক্লিফ সাইডবোটম নামের এই বিলাতি নারী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ভারতে এসেছিলেন। তিনি তখন কলকাতায় বেঙ্গল পাইলট সার্ভিসে কর্মরত। সেই সময় ‘ইন্ডিয়ান সামার’ উদযাপনের জন্য বিলাতি নারী-পুরুষেরা দলবেঁধে শহরের বাইরে ঘুরতে বের হতো। রেডলিফ তার একটি স্মৃতিচারণায় লিখছেন, “আবহাওয়াটা এককথায় চমৎকার! প্রাণে তখন আনন্দের ছোঁয়া লাগে। যেসব নারীরা ঘরে বসে শীতে কুঁকড়ে গিয়েছিল এবং যাদের ছায়া কখনোই কেউ দেখেনি, ভারতের মাটিতে বসন্তকাল আসার সাথে সাথেই সেইসব বিলাতি নারী এবং ইউরোশিয়ান নারীরা কী সুন্দর রঙ-বেরঙের বেশ ভুষায় সজ্জিত হয়ে রাস্তায় নেমেছে। তাদের চেহারায় এবং অঙ্গভঙ্গিতে কামোত্তেজনা স্পষ্টতই প্রবল। না, তাদের কাউকেই বিয়ে করতে হবে না। তবে কিছুটা সুন্দর সময় এই নারীদের সাথে কাটালে ক্ষতি কী?”
ভারতীয় পুরুষদের চোখ থেকে বিলাতি নারীদের যতটা সম্ভব আড়াল করা যায়—সেই চেষ্টার অন্ত ছিল না। ১৯০১ সালে বিলেতে রানী ভিক্টোরিয়ার ডায়মন্ড জুবেলি উপলক্ষে ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন বলেন, “বিলাতি নারী শব্দটি নিয়ে যে কঠিন প্রশ্নটি চলে আসে তা হলো, বিলাতি নারীরা যখন চাকর শ্রেণীর বা একটু উপরের স্তরের ভারতীয় সেনাদের আকর্ষণ করানোর চেষ্টা করে, তখন তা সত্যি ভাবায়। ”
সেই সময় ভারতীয় উচ্চ মহলে এ নিয়ে দুঃখ ছিল যে, বিলাতিরা সবসময় তাদের নিয়ে বানিয়ে বানিয়ে নানারকম মিথ্যা গল্প বানাতে ভালোবাসে। একজন বিলাতি পুরুষ কোনো ভারতীয় নারীর প্রেমে পড়বেন, তাতে কোনো দোষ নেই, কিন্তু একজন বিলাতি নারী কোনো ভারতীয়ের সাথে সম্পর্কে জড়াবে—এ কথাটি তৎকালীন বিলাতি সমাজ ভাবতেও পারত না। অথচ তেমনই একটি ঘটনা ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায়।
১৮৯৩ সাল। পাটিয়ালার মহারাজার কপালে চিন্তার ভাঁজ। গতরাতে বিলাতি ক্লাবে যে মেয়েটি নেচেছিল, কিছুতেই তার চেহারা তিনি মন থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না। আহা! কী সুন্দরই না এই বিলাতি নারী। সোনালী আর কোঁকড়ানো চুল, নীল চোখ আর কী সুন্দর তার দেহ! তার সাথে কি পরিচিত হওয়া যায়! যেমন ভাবা তেমন কাজ। গানের এক ফাঁকে কফি খাওয়ার সময় মহারাজা পরিচিত হলেন নীল নয়নার সঙ্গে। জানা গেল তার নাম ফ্লোরি ব্রায়ান। বিলেত থেকে এসেছেন কয়েক বছর হয়ে গেল। বাহ! কী সুন্দর নাম! আর সবচেয়ে বড় কথা, কত সুন্দর তার কণ্ঠ, সুন্দর চোখে মায়াবি জাল বুনে তিনি গান করেন! মহারাজা ফ্লোরি ব্রায়ানের প্রেমে পড়ে গেলেন। আমন্ত্রণ জানালেন তার রাজবাড়িতে।
“আপনি কি তাহলে আমার নিমন্ত্রণ রক্ষা করছেন, মিস ফ্লোরি ব্রায়েন?” মহারাজার চোখে মুখে আনন্দের চিহ্ন।
“অবশ্যই আসব মহারাজা। আপনি নিমন্ত্রণ করেছেন, আর আমি কি না এসে পারি?” রহস্যের হাসি ঢেলে বললেন ফ্লোরি।
মাহারাজার বাড়িতে নতুন বিলাতি নারীর আগমন উপলক্ষে রাজবাড়িতে উৎসবের ধুম পড়ে গেল। ফ্লোরি ব্রায়ান শুধুমাত্র একজন বিলাতি নারীই নন, তিনি তখন বিলাতি সমাজে বেশ পরিচিত একজন গাইয়ে। ভালো নাচতেও পারেন।
যথাসময়ে হালকা গোলাপী রঙের গাউন জড়িয়ে গোলাপী গালের উষ্ণতা নিয়ে ফ্লোরি ব্রাউন পা রাখলেন পাটিয়ালা মহারাজার রাজদরবারে। মাহারাজার আনন্দ যেন আর ধরে না! বিলাতি নারী নিজেই চলে এসেছেন! এদিকে মহারাজার কিছু বন্ধুও আজ দরবারে এসেছে নিমন্ত্রণ পেয়ে। সন্ধ্যায় বিশেষ সংগীত এবং নাচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত মহারাজার বাড়িতে বিলাতি নারী সংগীত এবং নাচ পরিবেশন করলেন। মাহারাজার জীবনে ধীরে ধীরে একটি পরিবর্তন আসতে শুরু করল। তাহলে কি সত্যিই তিনি ফ্লোরা ব্রায়ানের প্রেমে পড়ে গেলেন? ফিসফিস কথাগুলো রাজবাড়ির আশেপাশে অনেকেই বলতে শুরু করেছে ততক্ষণে। ফ্লোরা ব্রায়ানের অবস্থাও একই। বান্ধবী এলিজাকে বললেন সে কথা। তারা একজন আরেকজনকে ভালোবাসেন।
মহারাজার সাথে ফ্লোরি ব্রায়ানের সম্পর্কটা ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব থেকে গভীর প্রণয়ের দিকে গেল। মহারাজা তো, আর দেরি করতে চাইলেন না। ফ্লোরা ব্রাউনকে সরাসারি বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। খবরটা খুব দ্রুত পাটিয়ালার আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ল। শহরের সবাই এই খবরে খুশি। যাক, মাহারাজার পছন্দের তারিফ না করে উপায় নেই। শেষ পর্যন্ত ফিরিঙ্গি মেয়ে মনে ধরেছে! বন্ধুস্থানীয়রা তাকে নিয়ে রঙ্গ-রসিকতা করতেও ছাড়ল না। কিন্তু এমন খবরে আনন্দিত হতে পারল না তৎকালীন বিলাতি সরকার। ব্রিটিশ সরকারের একজন প্রতিনিধি এক বিকালে এলেন মহারাজার সাথে দেখা করতে এবং বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে। বিলাতি প্রতিনিধিটির নাম, ফস্টার।
“আপনি একজন বিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। সমাজে আপনার স্থান অনেক উঁচু। আর তাছাড়া আপনি আমাদের খুব প্রিয় একজন বন্ধুও বটে! বিষয়টা আরেকবার ভেবে দেখুন। আমাদের মনে হয় না আপনার এই মেয়েটাকে বিয়ে করা ঠিক হবে। ” পাইপে ধোঁয়া তুলতে তুলতে বললেন ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি ফস্টার।
“কেন! তাকে বিয়ে করলে আপনাদের দিক থেকে সমস্যাটা কোথায়? আমরা একজন আরেকজনকে ভালোবাসি। বিয়েতে আমি তো কোনো সমস্যা দেখছি না। ” মহারাজা দৃঢ়চিত্তে বলেন।
“দেখুন মহারাজা। আমরা আপনার ভালোই চাই। ফ্লোরি ব্রায়ান সম্পর্কে আমাদের বেশ ভালো খোঁজ খবর আছে। মেয়েটা খুব একটা সুবিধের নয়। অনেকের রক্ষিতা হিসেবেও সে সময় কাটিয়েছে। আর তাছাড়া সে এই শহরের একজন নর্তকী ছাড়া কিছুই নয়। আপনার মতো একজন খানদান এই নর্তকীকে বিয়ে করবেন এটা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। ” ফস্টারও দৃঢ়ভাবেই কথাগুলো বললেন।
মহারাজা ফস্টারের কথায় চুপ হয়ে রইলেন। তারপর খুব ধীরস্থিরভাবে পাইপে আগুন ধরাতে ধরাতে এগিয়ে এলেন, ফস্টারের ঠিক সামনে। কোনো রকম ভূমিকা না করেই বললেন, “আপনাকে ধন্যবাদ ফস্টার যে, আমাকে নিয়ে এত ভাবছেন। আমার মান সম্মান নিয়ে আপনারা যেভাবে ভাবছেন বিষয়টা আমাকে সম্মানিতও করেছে। তবে একটা কথা জেনে রাখুন। ফ্লোরি ব্রায়ান সম্পর্কে আমি সব খবরই জানি। সে আমাকে সব খুলে বলেছে। আমরা একজন আরেকজনকে ভালোবাসি ফস্টার। আপনি আপনার কর্মকর্তাদের গিয়ে বলুন আমরা খুব শিগগিরই বিয়ে করতে যাচ্ছি। কোনো কিছুই আমাদের এই সিদ্ধান্তকে পাল্টাতে পারবে না। ”
ফস্টার মাথা নিচু করে মাহারাজার জীবনের সাফল্য কামনা করে চলে এলেন। ১৮৯৩ সালে জুলাই মাসে পাটিয়ালা মহারাজার সাথে বিলাতি নারী ফ্লোরি ব্রায়ানের মহা ধুমধামে বিয়ে হয়ে গেল। এবং পরবর্তী সময়ে তারা মহাসুখেই জীবন যাপন করেন। কিন্তু তারপরও বিলাতি সমাজ কখনোই ভারতীয় পুরুষ সমাজের প্রতি আস্থা রাখতে পারেনি। বলার অপেক্ষা রাখে না, ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির আগপর্যন্ত বিলাতি সমাজের মনে ভারতীয়দের প্রতি এই বিদ্বেষ খুব সযত্নেই লালিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
পর্ব ২১ পড়তে ক্লিক করুন