শীত বনহুর
কবুতররঙা চাদরে
যেভাবে থমকে থাকে অনেকটা শীত
মানুষটা এতটাই গহীন!
কোনোদিন আঙুল বাড়িয়ে ‘আমরা’ হব না
হব না এক ঠোকর ওম
শুধু মাঝখানে ইঞ্চি গেঁথে হই প্রতিবেশী
দেখি—কাপ দম্পতি, ক্রেতাদের সীতা হরণ,
যুবতী পাতার জলে তীব্র ওমের ফোঁটা...
খুব গোপনে নিজেকে ভীষণ বেহুলা মনে হয়
আর প্রতিবেশী যেন কতকালের জীবন্ত লখিন্দর;
ভেলায় থইথই কুয়াশা
গভীর থেকে গভীরতর কৈতরের পা
আমার আর বিপরীত চাদরের ওমের তৃষ্ণা বাড়ে
ভুলে যাই সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ
মানুষটা এতটাই ঘোর
ফলবান মেঘ
সাপ ও সাপুড়েরা জানে
প্রবল বৃষ্টিপাত দিয়ে যায় কিছু অপ্রস্তুত মানুষ
অথবা ছাতাকেন্দ্রিক ভরসা কিংবা নির্ভরতা
কেবল চাতক পাখিদের ঠোঁটে
জেনেছি তোলপাড় শব্দের মানে...
লখিন্দরের ভেলা
এবং সাপেদের মধ্যবর্তী সবটুকু বিষ শুষে নিয়ে
সেই কবে গাঙুরের বেহুলা
লিখেছিল শব্দের ঠোঁটে উজান, ভাটি, গর্ভবতী মাটি,
আমিও বেহুলা একদিন শাপ হয়ে, রোদবিষ ছুঁয়ে
সারাংশে রেখেছিলাম যাবতীয় অভিমান—
‘আজ আমি মেঘলা হব
তবু মাটিকে রাখব দূরে
বৃষ্টির শব্দ থেকে’
ময়ূর অথবা যুবতী ব্যাঙের প্রবল আকাঙ্ক্ষায়, অপেক্ষায়,
তুমুল বৃষ্টিপাতে, এক দানা জলজ শব্দে
লিখে যাই আজকের অভিযান!
পৌরাণিক রোদের ওপার থেকে,
নেমে এসো ফলবান মেঘ—
এই ধ্রুপদী তোলপাড়ে!
সাদা হাঁসের বিশদ নিয়তির মতো ডুবে যাওয়ার আগে
নিঃশ্বাসে তুলে নিলাম বর্ষার সবটুকু আদিম আকাঙ্ক্ষা—
আষাঢ়ে ডুবিয়েছি অক্ষর
মেঘলা হাতের নরম মুঠোয় বুকের যুক্তাক্ষর...
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
শিল্প-সাহিত্য
একজোড়া কবিতা | প্রজ্ঞা মৌসুমী
কবিতা ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।