কক্সবাজার: ‘জ্ঞানের দ্বীপ কখনই নিভে না। বিভিন্ন দেশে বড় বড় উৎসবে অংশ নেওয়া হলেও এ উৎসবে নিজের শেকড়কে খুঁজে পাওয়া গেল।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজারের রামুর পূর্ব রাজারকুল গ্রামে জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত হেমন্ত উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন কবি আসাদ মান্নান।
সন্ধ্যার পর পর পাঠাগারের দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে হেমন্ত উৎসবের উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী।
এ সময় তিনি বলেন, একটি পাঠাগার একটি আলোর মশাল, দিকে দিকে যে মশাল আলোর পথ দেখায়। আর হেমন্ত উৎসব পাড়াগাঁয়ে অনন্য সাধারণ আয়োজন।
এরপর জ্ঞানান্বেষন পাঠাগারের সভাপতি আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ফাহমিদা মোস্তফা, কবি আসাদ মান্নানের সহধর্মিণী কন্ঠশিল্পী নাজমা মান্নান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ধনিরাম বড়ুয়া, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, কবি মানিক বৈরাগী প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক শিপ্ত বড়ুয়া।
পরে অনুষ্ঠানে ৮ লেখক কে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন, ধনিরাম বড়ুয়া, দর্পন বড়ুয়া, নিলোৎপল বড়ুয়া, সংগীত বড়ুয়া, সজল দে, শিরুপন বড়ুয়া, কান্তু শর্মা ও কামাল হোসেন।
সবশেষ আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এতে বিশিষ্ট শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
উল্লেখ্য প্রত্যন্ত গ্রাম রামুর পূর্বরাজারকূল বড়ুয়া পাড়ায় ২০১৭ সালে কয়েকজন সৃষ্টিশীল তরুণ গড়ে তোলেন জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার। বর্তমানে পাঠাগারটিতে বইয়ের সংখ্যা ৫ হাজারের অধিক।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
এসবি/এএটি