ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

বাড়ির ছাদেই নামানো যাবে হেলিকপ্টার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৩
বাড়ির ছাদেই নামানো যাবে হেলিকপ্টার

ঢাকা: অনুমতি সাপেক্ষে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ির ছাদে হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারবে। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালাও তৈরি করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

চলতি বছরের জুলাই মাস থেকেই বাসাবাড়ির ছাদে, করপোরেট হেলিপ্যাড, আবাসিক হোটেল ও হাসপাতালের ছাদে হেলিকপ্টার অবতরণের অনুমতি দিচ্ছে বেবিচক।  

নীতিমালায় সম্মতিও দিয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যান। জুলাই মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্তটি সার্কুলার আকারে জারি করে কার্যকর করা হবে বলে বেবিচক সূত্রে জানা গেছে।  

এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, রুফটপে হেলিকপ্টার অবতরণের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি জুলাই মাসেই সার্কুলার আকারে জারি করা হবে।  

দেশে প্রথম ১৯৯৯ সালে বেসরকারি উদ্যোগে বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টার সেবা চালু করে সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্স। এখন যে কেউ চাইলে হেলিকপ্টার ভাড়া নিতে পারেন। সাধারণত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, বিত্তবানদের বরযাত্রা ও ভিআইপি যাত্রী বহনে হেলিকপ্টারের ব্যবহার বেশি হয়। এ ছাড়া জরুরি মিটিং, দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানো, লিফলেট বিতরণ, রোগী বহন, শুটিং ও মরদেহ বহনসহ বিভিন্ন কাজেও এখন হেলিকপ্টার ব্যবহার হচ্ছে।

যানজটের ঝামেলা এড়াতে ও ঢাকার বাইরে মিটিংয়ে যেতে অনেক ব্যবসায়ী এখন নিয়মিত হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। এমনকি বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে আলেমদেরও হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বেবিচক সূত্রে আরও জানা গেছে, যেসব ভবনে হেলিকপ্টার নামবে সেটি অবশ্যই অবতরণের জন্য উপযোগী হতে হবে। এজন্য বুয়েট থেকে প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট নিতে হবে। সার্টিফিকেট ছাড়া হেলিপ্যাড স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে না। এ ছাড়া দেশের যেকোনো খোলা জায়গা হেলিপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে।

কয়েক বছর ধরে ঢাকায় হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার অবতরণের অনুমতি দেওয়া বন্ধ ছিল। বেবিচক জানিয়েছিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞাই ছিল এর মূল কারণ। তারা নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং মাদক পাচারের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছিল। তাই এতদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই হেলিকপ্টার উড্ডয়ন ও অবতরণ করত।

ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই অনুমতির দাবি করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, নিরাপত্তার কথা বলে ঢাকায় কোনো হোটেল, হাসপাতাল বা কারো ছাদের হেলিপ্যাডে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু যখন একজন মুমূর্ষু রোগীকে দূরের কোনো জেলা থেকে ঢাকার কোনো হাসপাতালে আনতে গেলে হেলিকপ্টার অবতরণ করে বিমানবন্দরে। রোগীদের ১ ঘণ্টায় হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা গেলেও যানজটের কারণে বিমানবন্দর থেকে হাসপাতালে যেতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লেগে যায়।

এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) তথ্যমতে, দেশে ১০টি বেসরকারি কোম্পানির ৩২টি হেলিকপ্টার আছে। কোম্পানিগুলো হলো সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্স, স্কয়ার এয়ার লিমিটেড, আর অ্যান্ড আর এভিয়েশন লিমিটেড, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স লিমিটেড, মেঘনা এভিয়েশন লিমিটেড, বিআরবি এভিয়েশন লিমিটেড, বসুন্ধরা এয়ারওয়েজ লিমিটেড, বিসিএল এভিয়েশন লিমিটেড, ইমপ্রেস এভিয়েশন লিমিটেড ও বেক্সিমকো এভিয়েশন লিমিটেড।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৩
এমকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।