ঢাকা: বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপি নেতারা সিইসিকে বলেছেন, যে ধারায় নির্বাচন চলছে তাতে অার উন্নত নির্বাচন হবে না।
বুধবার (২৫ মে) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাতে বিএনপির প্রতিনিধিদলটি এই বিষয়টি জানান। চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিদায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে নোমান সাংবাদিকদের জানান, সকাল থেকে শুরু হওয়া দেশের নয়টি পৌরসভার নির্বাচনে সরকার দলের ক্যাডাররা প্রশাসনের সহায়তায় জালভোট দেওয়াসহ বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। আমরা এই বিষয়টি সিইসিকে জানিয়েছি। তিনি তার স্বভাবজাতভাবে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের বলেছেন।
নোমান বলেন, জাল ভোটই শুধু নয়, যেভাবে ভোট ডাকাতি হচ্ছে তাতে আর উন্নত নির্বাচন হবে বলে আশা করি না। বর্তমান সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না। আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ঘৃণা করি। তাই সিইসিকে বলেছি, সরকারের আজ্ঞাবহ হলে কিছুই হবে না। একবার কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারলে জনগণ আপনাকে মনে রাখবে। তাই পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে চলে আসেন। এটাই হবে বড় কাজ।
অনিয়ম হলে কেন্দ্র আগেও বন্ধ হয়েছে এবারও হবে সিইসির এমন আশ্বাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সবকেন্দ্রে কারচুপি হলে দু-একটি কেন্দ্র বন্ধ করা হলে তাতে কিছু এসে যায় না। কারচুপি করেই একজন নির্বাচিত হয়ে যায়। তাই নয়টি পৌরসভার নির্বাচন বাতিল করে, নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সিইসি দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
নোমান বলেন, শুধু পৌরসভা নির্বাচন নয়, সাম্প্রতিক সময়ে যতও নির্বাচন হয়েছে, তার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি সিইসিকে জানিয়েছি। যে কমিটি এই কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কারচুপিসহ সব প্রতিবেদন জনগণের কাছে প্রকাশ করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে কারচুপি করে তাদের প্রার্থীরা জয়ী হলেও প্রকৃত জয় হয়েছে বিএনপির। কেননা, জনগণ দেখেছে বিএনপি নির্বাচন করতে আগ্রহী। কিন্তু এই সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এছাড়া যে কমিশন স্থানীয় নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারছে না, সে কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা ক্যাম্পেন (অব.) সুজাউদ্দীন, ইমরান সালে প্রিন্স ও আব্দুল আউয়াল খান উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির প্রতিনিধি দলটি দুপুর ২টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশ সময: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৬/আপডেট ১৬৪৬
ইইউডি/আরআইএস/আইএ