ঢাকা: একুশে ফেব্রুয়ারির উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনা শেষ হলেও বইয়ের প্রতি বাঙালির আবেগ আর ভালোবাসা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) স্টলে আর প্যাভিলিয়নে ভিড় আর হাতে হাতে বই অনন্য করে তুলেছিল একুশের চেতনায় শাণিত বইমেলাকে।
এদিন বিকেল তিনটায় মেলার প্রবেশদ্বার খোলার পর থেকে বইপ্রেমীদের ভিড় জমতে থাকে। আর সন্ধ্যার দিকে সেই তা বেড়ে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে মেলাপ্রাঙ্গণ।
রাজধানীর লালবাগ থেকে এদিন বিকেলে মেলায় আসেন ফাহিমা হক টুম্পা নামে এক তরুণী। কী বই কিনেছেন জানতে চাইলে বলেন, হুমায়ূন আহমেদের পুরনো বেশ কিছু বই কিনেছি। এছাড়া জাফর ইকবালের সায়েন্সফিকশনের বইও কিনেছি।
মেলার পরিবেশ কেমন লাগছে জানতে চাইলে এই তরুণী বলেন, মেলার পরিসর বেড়েছে. কিন্তু পরিবেশের উন্নতি ঘটেনি। গতবারের চেয়ে এবারের পরিবেশ বেশি খারাপ। ধুলার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। ছুটির দিন ও একুশে ফেব্রুয়ারিতে বেশি ভিড় থাকে বলে কর্মমুখর দিনে এলাম। তাও ধুলার যন্ত্রণায় ঠিকমতো পুরো মেলাটা ঘুরতে পারলাম না। শুধু পছন্দের বইগুলো কিনেই তাড়াহুড়ো করে বাসায় যাচ্ছি। মেলার পরিবেশের বিষয়ে বাংলা একাডেমির আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত।
ঐতিহ্য প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল বলেন, দিন যতই যাচ্ছে, বিক্রি ততই ভালো হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আশা করছি এবারের মেলা বিগত বছরের সফলতার সব রেকর্ড ভাঙবে।
বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপ-বিভাগের তথ্য মতে বুধবার ২২তম দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ৬৪টি। এর মধ্যে গল্প ৪, উপন্যাস ১১, প্রবন্ধ ১, কবিতার বই ১৮, গবেষণা ১, ছড়ার বই ৩, জীবনী ২, রচনাবলি ২, মুক্তিযুদ্ধ ৩, নাটক ১, বিজ্ঞান ১, ভ্রমণের ২, ইতিহাসের ২, রাজনীতির ৩, চিকিৎসা স্বাস্থ্য বিষয়ক ১, রম্য/ধাঁধার ১, ধর্মীয় ২, সায়েন্সফিকশন ২ ও অন্যান্য বিষয়ের ৪টি বই। গত ২২দিনে মোট নতুন বই এসেছে ২ হাজার ৬৫০টি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এইচএমএস/এমএমজেড