ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

সকালটা শিশুদের, বিকেলে বইপ্রেমীদের ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
সকালটা শিশুদের, বিকেলে বইপ্রেমীদের ভিড় বইমেলার শিশুপ্রহরে শিশুচত্বর। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর পর অমর একুশে বইমেলার ১২তম দিন শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। শিশুপ্রহরে শিশুচত্বরে এসে আনন্দ-উল্লাস আর দুরন্তপনায় মেতে উঠে কচি-কাঁচারা।

বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলার শিশুচত্বরে শিশুপ্রহরে সিসিমপুরে এসে হালুম, ইকরি, টুকটুকি আর শিকুর সঙ্গে দুরন্তপনা আর নাচানাচিতে মেতে উঠে শিশুরা। এরপর প্রিয় কার্টুন, কমিকস, রূপকথার গল্প, ভূতের বইসহ পছন্দের বইগুলি কিনেই বাড়ি ফিরে খুদে পাঠকরা।

রাজধানীর খিলগাঁও থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে মেলায় আসা খুদে পাঠক সাদিয়া মাহবুব বলে, ক্লাসের বই পড়তে পড়তে বোর হয়ে গেছি, তাই আব্বু-আম্মকে নিয়ে মেলায় এসেছি মজার কিছু বই কিনতে। আম আঁটির ভেঁপু’, গোপাল ভাঁড়ের শতগল্প’, বড় মামার বাঘ শিকার বইগুলো কিনেছি।

ছোট দুই কন্যা শ্রাবণী ও সিমন্তীকে মেলায় নিয়ে আসা ব্যবসায়ী যিশু কুমার সরকার বলেন, শিশুদের কেবল পাঠ্য বই পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেই চলবে না, তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞান সম্পর্কেও জানতে হবে এবং শিল্প-সংস্কৃতির চর্চাও করতে হবে। এজন্য বাচ্চাদের মেলায় নিয়ে এসেছি।

সকালের প্রহরে ছোট্ট সোনামনিদের কলতানের পর দুপুরে বাড়তে থাকে বইপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের ভিড়। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগেও একুশের চেতনায় শাণিত হয়ে মেলাকে সফলতার পথে উন্নীত করেছে বইপ্রেমী বাঙালিরা।  

ভিন্ন ভিন্ন ভাবে মেলায় আসেন দুই বান্ধবী কল্পনা ইসলাম ও উম্মে হাবীবা প্রীতিলতা। এর মধ্যে রাজধানীর মিরপুর থেকে আসেন কল্পনা ও শাহজাদপুর থেকে আসেন প্রীতিলতা। মেলায় এসে একসঙ্গে ঘুরে বেড়ান তারা। তারা দুজন বলেন, মেলায় এসে খুবই ভালো লাগছে।

তারা আরও বলেন, বই খুব একটা কিনতে পারিনি। অল্প কয়েকটা বই কিনেছি। ক্যাটালগ সংগ্রহ করলাম। আরেকদিন এসে বাকি বইগুলো কিনবো।  

এদিকে মেলার সময় বাড়ানো নিয়ে লেখক-পাঠক ও প্রকাশকদের মধ্যে নানা ধরনের শঙ্কা চলছে। সময় বাড়বে কিনা আর কতদিন বাড়বে এ নিয়েও উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা কাজ করছে পাঠক-লেখক ও প্রকাশকদের মধ্যে।  

সময় বাড়ানো হবে কিনা, আর কত দিন বাড়বে এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির পরিচালক ও মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেছেন, মেলা বাড়ানোর বিষয়ে সম্ভাব্য কয়েকটা ডেট আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত আসার পরই বলতে পারবো মেলা বাড়বে কিনা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad