ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

তাইজুল চাপ বাড়ানোর পর বৃষ্টি বাগড়া

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
তাইজুল চাপ বাড়ানোর পর বৃষ্টি বাগড়া সংগৃহীত ছবি

প্রথম ৫ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন স্টিফেন ডোহেনি ও হ্যারি টেক্টর।

তবে তাদের সেই প্রতিরোধ ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু পরের ওভারেই বৃষ্টি নেমে আসে চেমসফোর্ডের ওপর।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তুলেছে আয়ারল্যান্ড।  

তবে বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কিছুটা আগ্রাসী শুরু পায় আয়ারল্যান্ড। কিন্তু শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের দুই ওভারে টপ অর্ডারের দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আইরিশরা।

আইরিশদের ওপেনার পল স্টার্লিং ২ চার ও ১ ছক্কায় ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু তার সেই ঝড় শুরুতেই থামিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। চতুর্থ ওভারে বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসারের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থাকা ফিল্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন স্টার্লিং (১৫)।  

পরের ওভারে আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। অ্যান্ড্রু বলবার্নিকে হাত খোলার সুযোগ দেননি তিনি। তিনে নামা আইরিশ অধিনায়কে (৫) বোল্ড করে ফিরিয়েছেন ডানহাতি পেসার হাসান। এরপর হ্যারি টেক্টরকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ডোহেনি। দুজনের জুটিতে আসে ৩৬ রান। তবে ডোহেনিকে (৩৯ বলে ১৭ রান) কট অ্যান্ড বোল্ড করে জুটি ভাঙেন তাইজুল। কিন্তু এরপর বৃষ্টি বাগড়ায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে আজ ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে আয়ারল্যান্ডকে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে এই সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা।  

শুরুটা হয় লিটন দাসকে দিয়ে, ইনিংসের একেবারে প্রথম বলেই। জশ লিটলের ইয়র্কার ডিফেন্ড করতে গিয়েও পারেননি লিটন, প্যাডে লাগার পর আউটের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। কোনো রান না করেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন।  

এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে তামিম ইকবালের কাঁধে ছিল ইনিংস গড়ার দায়িত্ব। বাংলাদেশ অধিনায়ক দুই বাউন্ডারিতে দিচ্ছিলেন খোলস ছেড়ে আসার বার্তাও। কিন্তু মার্ক অ্যাডাইয়ারের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালাতে যান তিনি।

আম্পায়ার শুরুতে আবেদনে সাড়া দেননি, কিন্তু পরে রিভিউতে দেখা যায় তামিমের ব্যাটে লেগেই উইকেটরক্ষকের কাছে গেছে বল। অবিশ্বাস নিয়ে ১৯ বলে ১৪ রান করা তামিম পথ ধরেন সাজঘরের দিকে।  

এরপর ক্রিজে এসে সাকিব আল হাসান ব্যাট চালাচ্ছিলেন, তিনি স্ট্রাইক রোটেটও করছিলেন ভালোভাবেই। কিন্তু তিনিও পারেননি প্রত্যাশা পূরণ করতে। গ্রাহাম হিউমের বলে এগিয়ে এসে লাইন মিস করে বোল্ড হন, এর আগে  ২১ বলে ২০ রান করেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার।  

৫২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭ চারে ৬৬ বলে ৪৪ রান করে শান্ত আউট হলে ভাঙে এই জুটি।  

হৃদয়ও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। গ্রাহাম হিউমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩১ বলে ২৭ রান করেন তিনি। পরের লড়াইটা ছিল মুশফিকুর রহিমের। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৫ রানের। ৪ চারে ৩৪ বলে ৫৭ রান করে সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ক্যাচ দেন মিরাজ।

মুশফিকুর রহিম কিছুক্ষণ লড়েন তাইজুল ইসলামকে নিয়েও। কিন্তু তিনি ফেরেন জশ লিটলের বল তুলে মারতে গিয়ে। ক্যাচ আউট হয়ে ফেরার আগে এই ব্যাটার ৬ চারে ৭০ বলে করেছেন ৬১ রান। শেষদিকে তাইজুল ইসলাম ৩৬ বলে ১৪ ও শরিফুল ইসলাম ১৫ বলে ১৬ রান করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।