এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশের জন্য ছিল মিশ্র অভিজ্ঞতার। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তাদের প্রত্যাশা ঠেকেছিল তলানিতে, সিরিজ হেরেছিল যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও।
এমন সাফল্য অবশ্য অনেকটাই ম্লান হয়ে গিয়েছে সুপার এইটে গিয়ে। তিন ম্যাচের সবগুলোতে হেরে দেশে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। অথচ শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২.১ ওভারে ১১৬ রান তাড়া করতে পারলেই সেমিফাইনালে চলে যেতো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অবশ্য খুশি দলের পারফরম্যান্সে। রোববার বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে (সুপার এইট) কোয়ালিফাই করা। সেদিক দিয়ে আমরা কোয়ালিফাই করেছি। অবশ্যই এটা ইতিবাচক দিক যে লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছে। ’
‘দুইভাগে যদি ভাগ করি, তাহলে একদিক দিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারায় সবাই খুশি। এরপর যা ছিল ওভারঅল পারফরম্যান্সে। যদি আপনি ব্যাটিং আর বোলিংয়ে বলেন, আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। পুরো টুর্নামেন্টেই আমরা ভালো ব্যাট করিনি। প্রথম রাউন্ডের চার ম্যাচের চারটিতেই কিন্তু আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে খুব ক্লোজ ম্যাচ হেরেছি। টপ অর্ডারে নিয়মিত ধস নেমেছে বলে আমরা ব্যাটিং ভালো করতে পারিনি। ’
এবারের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব ছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা পাঁচ উইকেটসংগ্রাহকের তালিকায়ও। কিন্তু পুরো বিশ্বকাপজুড়েই ব্যাটারদের ব্যর্থতা ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। এ নিয়েও কথা বলেছেন জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে এভাবে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হতে আমরা এর আগে কখনো দেখিনি। হয়তো একজন ফেইল করেছে, আরেকজন গিয়ে কভার করেছে। টপ অর্ডারের পর মিডল অর্ডারেও আমরা ফেইল করেছি। তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা বেশি। সবাই স্বীকার করে। খেলোয়াড়েরাও স্বীকার করে। তবে মাঠে গিয়ে কেউ খারাপ খেলতে চায় না। সবাই ভালোই খেলতে চায়। ব্যাটিংয়ের যেসব জায়গায় দুর্বলতা আছে, সেগুলো খুঁজে বের করে কাজ করতে হবে। ’
‘আপনি যদি আরও প্রাপ্তির কথা বলেন, তাহলে আমাদের বোলিং বিভাগে প্রাপ্তি আছে। আমাদের পেসার এবং স্পিনাররা ব্রিলিয়ান্ট বোলিং করেছে। বিশেষ করে রিশাদ। নিজেকে প্রমাণ করতে ওর জন্য এটা বড় মঞ্চ ছিল। সে সব মিলিয়ে ভালোই করেছে। সব মিলিয়ে দেখেন, এই বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম