ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সামনে বড় লক্ষ্য রেখেও ইতিবাচক বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
সামনে বড় লক্ষ্য রেখেও ইতিবাচক বাংলাদেশ

দিনের শুরুটা ছিল কেবলই অপেক্ষার। কখন একটা সুযোগ দেবেন ভারতীয় ব্যাটাররা।

সেটি খুব বেশি তারা দেননি। এরপর পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। রান তাড়ায় নেমে উইকেট হারালেও ইতিবাচক আছে তারা।  

চেন্নাইয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয় ভারত। এরপর ৪ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান করে ভারত। ৫১৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান করেছে বাংলাদেশ।  

এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট হয় ভারত। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ৫১৫ রান তাড়ায় নেমে ১৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের চেয়ে ৩০৮ রানে এগিয়ে থেকে শুরু করে ভারত। সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে তাদের লিড। তাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শুভমান গিল ও ঋষভ পন্থ।

৩৩ রানে অপরাজিত থাকা গিল তৃতীয় দিন সকালে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। একই মাইলফল ছুঁয়েছেন পন্থও। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা থেকে প্রায় দুই বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা এই উইকেটরক্ষকের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি এটি।

গিলের সঙ্গে পন্থের জুটিটি একশ ছাড়িয়ে যায়। একটু পর চারশ হয়ে যায় ভারতের লিড। এরপরই ক্যাচ ছেড়ে দেন শান্ত। ৪৯তম ওভারে সাকিবের বলে মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেন পন্থ। কিন্তু আকাশে উঠা বল সময় পেয়েও ধরতে পারেননি শান্ত।  

প্রথম সেশনে ২৮ ওভারে ১২৪ রান করে ভারত। পরেরটিতে ফিরেই সেঞ্চুরি তুলে নেন ২৯ মাস পর টেস্টে ফেরা পন্থ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি।

এরপর কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। ১২৭ বলে ১০৯ রান করে মিরাজের বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান।  

পন্থেরর বিদায়ের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন গিলও। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া ব্যাটারের এটি টানা দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে শতক। এ বছর সবমিলিয়ে তৃতীয় সেঞ্চুরি গিলের।  

৪ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। বাংলাদেশের সামনে দাঁড়ায় ৫১৫ রানের বড় লক্ষ্য। ইনিংস ঘোষণার সময় গিল ১১৯ রানে ও লোকেশ রাহুল ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।  

বিশাল রান তাড়ায় নেমে ইতিবাচক আছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। চা বিরতির আগে ১৩ ওভার খেলে ৫৬ রান করেন তারা।  

বিরতি থেকে ফেরার পরই ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। ৩৩ রান করা জাকিরকে স্লিপে ইয়াশাসবি জায়সাওয়াল ক্যাচ বানান জসপ্রিত বুমরাহ। তার বিদায়ের পর উদ্বোধনী সঙ্গী সাদমানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।  

৬৮ বলে ৩৫ রান করে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন তিনি। সাদমানকে তুলে নেওয়া অশ্বিন ফেরান মুমিনুল হককেও। ২৪ বলে ১৩ রান করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি।  

আউট হওয়ার আগের বলে ছক্কা খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু পরের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড অফে। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

১০ ইনিংস পর হাফ সেঞ্চুরি করলেন তিনি। তার ফিফটির পরই অবশ্য আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঘোষণা করা হয় দিনের খেলা শেষ হওয়ারও।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।