চট্টগ্রাম থেকে: প্রশ্নটা যেন ছিল প্রত্যাশিতই। তাইজুল ইসলামও কিছুটা স্বস্তি খুঁজে পেলেন হয়তো।
কিন্তু টানা তিন টেস্টে বাজেভাবে হেরে এখন আবার ভিন্ন বাস্তবতায় ফিরেছে তারা। বাংলাদেশের ব্যাটিংটা যেখানে অনেক বড় চিন্তা। তিন টেস্টেই দল হিসেবে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেনি তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ওই ধাক্কা সামলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজের ৯৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৩০৭ রান করে বাংলাদেশ। কিন্তু ওই ইনিংসেও ১১৩ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে দল?
দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তাইজুল ইসলাম উত্তরে বলেন, ‘প্রত্যেকটা ম্যাচ আসা মানেই একটা সুযোগ। সেদিক থেকে আমার মনে হয় যে আবার আরেকটা সুযোগ ব্যাটারদের কাছে আছে। সত্যি কথা বলতে কী আমাদের দল হিসেবে যে পারফরম্যান্সটা হওয়ার কথা, সেটা হচ্ছে না। ’
‘কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে একেকজন একেক ম্যাচে ভালো খেলছে। দল হিসেবে আমরা যদি দুই-তিনটা জুটি গড়তে পারি, দুয়েকজন যদি হাফ সেঞ্চুরি, দুয়েকজন সেঞ্চুরি করতে পারি; তাহলে হয়তো আমাদের লক্ষ্যটা বড় হবে। সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে, মন থেকেও চাচ্ছে। কিন্তু হচ্ছে না। হয়তো এই ম্যাচে আমরা ভালো কিছু করবো। ’
ঘরের মাঠে টেস্টে বাংলাদেশের জন্য বড় ভরসার জায়গা স্পিনাররা। কিন্তু ঢাকা টেস্টে তারাও ভালো করতে পারেননি। তিন স্পিনার নিয়ে খেললেও উইকেট পাননি নাঈম হাসান। মিরাজও দুই ইনিংসে দুই উইকেট পান। তাইজুল অবশ্য দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন আট উইকেট।
স্পিনারদের নিয়ে তাইজুল বলেন, ‘আপনি নাঈমের রেকর্ড দেখলে বুঝবেন, তার রেকর্ডও কিন্তু খারাপ না। যথেষ্ট ভালো রেকর্ড। এক ম্যাচে উইকেট পায় নাই এজন্য সে পারবে না সামনে, এরকম না। আমার কাছে মনে হয় এক ম্যাচ হতে পারে এমন। সামনে যে ম্যাচ আছে, তারা কামব্যাক করবে, ভালো কিছু করবে। ’
‘অতীত রেকর্ড যদি দেখেন, মিরাজ বলেন, গত সিরিজেও ভারতে-পাকিস্তানে যথেষ্ট ভালো বল করেছে এবং দলকে জেতাতে সাহায্য করছে। নাঈমও অতীতে ম্যাচ যে ম্যাচগুলো খেলেছে চট্টগ্রাম, মিরপুরে; ভালো করেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম