ঢাকা: টেস্ট আঙিনায় পা রেখে সাদা পোষাকে বাংলাদেশ অভিষেক ম্যাচ খেলেছে ভারতের বিপক্ষে। ২০০০ সালে প্রথম টেস্টটি নিজেদের মাটিতে খেলার ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ভারতের মাটিতে কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলার আমন্ত্রণ পায়নি টাইগার বাহিনী।
বাংলাদেশ দলে অভিজ্ঞ সৈনিক মাশরাফি বিন মর্তুজা মনে করেন ভারতের মাটিতে আমন্ত্রণ পাওয়া, না পাওয়া নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। দলের বাকি ক্রিকেটাররা চায় শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে এমনটি জানিয়েছেন টাইগারদের ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক।
নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফির মতে কোথায় খেলা হলো সেটি নিয়ে না ভেবে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলা নিয়ে ভাবা উচিৎ। বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে ভারত পূর্ণশক্তির দল নিয়ে আসছে এমন খবরের পর মাশরাফি বেশ খুশিই হয়েছিলেন।
ভারত-বাংলাদেশ প্রসঙ্গে টাইগার দলপতি বলেন, আমার মতো অবশ্যই দলের বাকিরা চায় ভারতের বিপক্ষে খেলতে। আমরাও সামনের দিকে তাকিয়ে রয়েছি ভারতের মাটিতে খেলার জন্য। হয়তো খুব অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমরা সেখানে যাব এবং খেলবো।
ক্রিকেটের রেকর্ড বলছে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ মাত্র তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে। এশিয়া কাপের আসরে ১৯৯০ সালে এবং কোকাকোলা ত্রিদেশীয় সিরিজে ১৯৯৮ সালে খেলেছিল বাংলাদেশ। ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর চন্ডিগড়ে এবং ১৯৯৮ সালের ১৪ ও ২৫ মে মোহালি এবং মুম্বাইয়ের মাঠে খেলেছিল বাংলাদেশ।
সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এগারোতম বিশ্বকাপের আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত। সে ম্যাচে টাইগার পেসার রুবেল হোসেনের একটি বলে আউট হলেও বাজে আম্পায়ারিংয়ের ফাঁক গলে বেঁচে যান শতক হাঁকানো রোহিত শর্মা।
এ প্রসঙ্গে মাশরাফি কোনো মন্তব্য না করে বলেন, আমি সে প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে চাই না, শুধুই আসন্ন সিরিজের দিকে তাকাতে চাই।
ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে বলা হয়ে থাকে বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপ। এ প্রসঙ্গে মাশরাফি জানালেন, ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ যথেষ্ট শক্তিশালী। আপনি কাউকেই ছোটো করে দেখতে পারবেন না। তাদের দলে রয়েছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান এবং অজিঙ্কা রাহানের মতো ব্যাটসম্যান। তারা বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে। গত ছয় থেকে আট বছর মহেন্দ্র সিং ধোনি ভালো খেলে চলেছেন।
অতিথি দলটির বোলারদেরও বেশ প্রশংসা করেছেন মাশরাফি। বললেন, ভারতের বোলাররা যথেষ্ট ভালো বল করে থাকেন। বিশেষ করে তাদের পেস বোলাররা বিশ্বকাপের আসর থেকে ভালো বোলিং করে চলেছেন।
বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ডিআরএস সিস্টেম নিয়ে সমালোচনা হয়। তবে, মাশরাফি আসন্ন সিরিজের ডিআরএস সিস্টেম নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন। টাইগার দলপতি যোগ করেন, আমি ডিআরএস সিস্টেম নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করছি না। আমরা যে সুযোগ কাজে লাগাতে পারব না, তারাও (ভারত) সেটি থেকে বঞ্চিত হবে।
জুনের ৭ তারিখ বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবে ভারত। ১০ জুন ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্ট ম্যাচের মধ্যদিয়ে আতিথ্য নেবে টিম ইন্ডিয়া। তবে, বাংলাদেশের বর্তমান আবহাওয়ার তথ্য মতে, টেস্ট ম্যাচ আর ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন সময়ে বৃষ্টি দুই দলের খেলা ভেস্তে দিতে পারে।
এ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, আমি আশা করি বৃষ্টি বা আবহাওয়া জনিত কোনো কারণে দুই দলের সিরিজটি ভেস্তে যাবে না। দুই দলই পুরো ৫০ ওভার খেলার সুযোগ পাব।
১৮, ২১ ও ২৪ জুন দিবারাত্রি তিনটি ওয়ানডেই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ভারতের বিপক্ষে প্রতিটি ওয়ানডের পরদিনকে ‘রিজার্ভ ডে’ হিসেবে রাখা হয়েছে। ২৬ জুন সফর শেষে দেশে ফিরবে ভারত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ২৯ মে ২০১৫
এমআর