ঢাকা: লো স্কোরিং ম্যাচেও ১০৮ রানের বিশাল জয় পেল ভারত। মাত্র ২১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রান তুলতেই দক্ষিণ অাফ্রিকার ইনিংস গুটিয়ে যায়।
স্কোর: ভারত – ২০১ ও ২০০
দ. আফ্রিকা – ১৮৪ ও ১০৯
শনিবার (০৭ নভেম্বর) দুই উইকেটে ১২৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। কিন্তু, প্রথম ইনিংসে করা ২০১ রানও টপকাতে পারেনি স্বাগতিকরা। বিরাটা কোহলি (২৯) ও চেতশ্বর পূজারার (৭৭) ৬৬ রানের জুটি ভাঙার পরই তাসের ঘরের মতো টিম ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসও ভেঙে পড়ে। শেষ পর্যন্ত তারা ২০০ রানে অলআউট হয়। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন ওপেনার মুরালি বিজয়।
প্রোটিয়াদের হয়ে দুই স্পিনার সিমন হারমার ও ইমরান তাহির চারটি করে উইকেট দখল করেন। একটি করে উইকেট নেন পেসার ভারনন ফিল্যান্ডার ও স্টিয়ান ভ্যান জিল।
জয়ের জন্য মাত্র ২১৮ রানের লক্ষ্যে নেমেও বড় ব্যবধানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রোটিয়ারা। অশ্বিন-জাদেজা-মিশ্রদের স্পিন ঘূর্ণিতে ১০৯ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে অলরাউন্ডার ভ্যান জিলের ব্যাট থেকে। ওপেনার ডিন এলগার ও এবি ডি ভিলিয়ার্স দু’জনই ১৬ রান করে আউট হন। স্পিনার হারমার করেন ১১ রান। এছাড়া কেউই দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি।
প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের দশটি উইকেটই তুলে নেয় ভারতীয় স্পিনাররা। দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রায় তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল। পেসার বরুণ অ্যারনের এক উইকেট ছাড়া সবকটি উইকেটই তুলে নেন অশ্বিন-জাদেজারা। রবীন্দ্র জাদেজা একাই নেন পাঁচ উইকেট। রবিচন্দ্রন অশ্বিন তিনটি উইকেট লাভ করেন। দুই ইনিংস মিলে দু’জনেরই দখলে আটটি করে উইকেট। বাকি উইকেটটি নেন লেগস্পিনার অমিত মিশ্র।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন জাদেজা। ব্যাট হাতে ৪৬ রানের পাশাপাশি প্রতিপক্ষের আট ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান ২৬ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার।
বেঙ্গালুরুতে আগামী শনিবার (১৪ নভেম্বর) দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৫
আরএম