ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টাইগার যুবাদের টার্গেট ২১৫ রান

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
টাইগার যুবাদের টার্গেট ২১৫ রান ছবি : শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। মেগা এই ইভেন্টের তৃতীয় স্থান পেতে হলে স্বাগতিকদের ২১৫ রান করতে হবে।



ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগে টস জিতে ব্যাটিং নেয় লঙ্কানরা। ৪৮.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কা ২১৪ রান সংগ্রহ করেছে।

ফিল্ডিংয়ে নেমে ১২তম ওভারে এসে বাংলাদেশ প্রথম উইকেটের দেখা পায়। মেহেদি হাসান মিরাজ ফিরিয়ে দেন লঙ্কান ওপেনার সালিন্দু পেরেইরাকে। মেহেদির দারুণ এক ঘূর্ণিতে বলের লাইন মিস করলে লঙ্কান এই ওপেনারকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন জাকের আলি। আউট হওয়ার আগে পেরেইরা করেন ৩৪ রান।

১২তম ওভারে লঙ্কান ওপেনার পেরেইরাকে ফিরিয়ে দিয়ে মাঝে এক ওভার বিরতির পর আবারো বোলিং আক্রমণে এসে মেহেদি হাসান মিরাজ তুলে নেন লঙ্কানদের আরেক ওপেনার কামিন্দু মেন্ডিসকে। মেহেদির বলে এলবির ফাঁদে পড়ার আগে মেন্ডিস ৩১ বলে করেন ২৬ রান।

টাইগার যুবাদের দলপতি মেহেদি হাসান মিরাজের দুর্দান্ত স্পিনে লঙ্কানদের প্রথম তিন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। ১৮তম ওভারে মেহেদি ফিরিয়ে দেন আভিস্কা ফার্নান্দোকে। উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো জাকের আলির গ্লাভসবন্দি হয়ে বিদায়ের আগে তিনি ৬ রান করেন।

ইনিংসের ২৭তম ওভারে এসে টাইগার যুবারা চতুর্থ উইকেটের দেখা পায়। মেহেদি হাসান রানার বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলির গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন সামু আসান। বিদায়ের আগে এ লঙ্কান ৩২ বলে চারটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ২৭ রান। লঙ্কানদের হয়ে ১০ রান করা ভিসাদ রান্দিকাকে এলবির ফাঁদে ফেলে সাজঘরের পথ ধরান সালেহ আহমেদ শাওন। দলীয় ১৩১ রানের মাথায় শ্রীলঙ্কা তাদের পঞ্চম ব্যাটসম্যানকে হারায়।

দলীয় ১৩১ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারানো লঙ্কানদের স্কোরবোর্ডে রানের চাকা সচল রাখা হাসারাঙ্গাকে ৪৪তম ওভারে বোল্ড করেন সাইফুদ্দিন। আউট হওয়ার আগে তিনি ৩০ রান করেন। একই ওভারের পরের বলে ড্যানিয়েলকেও বোল্ড করেন সাইফুদ্দিন। তবে, হ্যাটট্রিকের দেখা পাননি এই পেসার। পরের ওভারে রান আউট হন দামিথা সিলভা।

৪৯তম ওভারে আবদুল হালিম ফেরান লঙ্কান দলপতি চারিথ আসালঙ্কাকে। জাকির হাসানের তালুবন্দি হওয়ার আগে তিনি ৯৯ বলে ৬টি চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে ৭৬ রান করেন। এক বল বাদেই কুমারাকে (৩) ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুটিয়ে দেন হালিম।

গত বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবাদের কাছে তিন উইকেটে হারলে ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। স্বপ্নযাত্রা থমকে যায় মেহেদি হাসান মিরাজের দলের। অন্যদিকে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ৯৭ রানের বড় ব্যবধানে হারে লঙ্কানরা।

তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটিকেও বেশ গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। কারণ, এর আগের কোনো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যুব দল সেমিফাইনাল অব্দি পৌঁছাতে পারেনি। ২০০৬ সালের যুব বিশ্বকাপে মুশফিক-সাকিব-তামিমরা পঞ্চম হয়েছিলেন। দীর্ঘসময় ধরে এটিই ছিল বাংলাদেশের সেরা সাফল্য।

কিন্তু ইতিহাসের শেকল ভেঙে সেমি পর্যন্ত তো গিয়েছে মেহেদির দল। তাইতো তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচও গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের কাছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর

** ৪৮ ওভার শেষে লঙ্কানরা ২১০/৮
** শ্রীলঙ্কার পাঁচ ব্যাটসম্যান সাজঘরে
** স্বাগতিকদের চতুর্থ শিকার
** মেহেদির স্পিনে তিন লঙ্কান সাজঘরে
** ১৭ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা ৭০/২
** হতাশা কাটিয়ে মাঠে টাইগার যুবারা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।