ঢাকা: লর্ডস টেস্টে ৭৫ রানের ঐতিহাসিক জয়ে দলের ভূয়সী প্রশংসায় মেতেছেন মিসবাহ উল হক। অধিনায়ক হিসেবে এটিকে ক্যারিয়ারের সেরা জয়ের তালিকায় রাখছেন ৪২ বছর বয়সী এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
এই ভেন্যুতেই ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির শিকার হয়েছিল পাকিস্তানের ক্রিকেট। ভুলে থাকার মতো ওই ঘটনা পেছনে ফেলে ছয় বছর পর চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শুরুতেই ঘুরে দাঁড়ালো সফরকারীরা। পেস তারকা মোহাম্মদ আমিরেরও টেস্টে প্রত্যাবর্তন ঘটে।
১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ইংল্যান্ডেই টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়নি মিসবাহর। দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ‘অভিষেকটা’ স্মরণীয় করেই রাখেন তিনি। গড়েন সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার হয়ে টেস্ট শতকের (১১৪) রেকর্ড। একদিন হাতে রেখেই দলও তুলে নেয় ঐতিহাসিক জয়।
দলের এমন পারফরম্যান্সে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মিসবাহ, ‘২০১০ ঘটনার (ফিক্সিং) পর এটা ছিল অসাধারণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো জয়। এই টিম সত্যিকারের দায়িত্ব নিয়েছে এবং খেলোয়াড়রা সবাই খেলাটির প্রতি অনেক সম্মান প্রদর্শন করেছে। ছয় বছর ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে এবং অনেক জয় এনে দিয়েছে। মাঠ ও মাঠের বাইরে শৃঙ্ক্ষলা খুবই ভালো হচ্ছে এবং শীর্ষ দলের বিপক্ষে জয় পাচ্ছে। ’
‘অধিনায়ক হিসেবে এবং পাকিস্তান দলের জন্য এটি অন্যতম সেরা জয়ের একটি। সবাই প্রতিদ্বন্দ্বিপূর্ণ মনোভাব দেখিয়ে যার যার সেরাটা দিয়েছে। বিশেষ করে আজকে (চতুর্থ দিন) মানসিকভাবে সবাই শক্ত অবস্থানে ছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে ইয়াসির শাহ ও ফাস্ট বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। সামগ্রিকভাবে এটা আমাদের জন্য একটি স্মরণীয় জয়। ’
২০১০ সাল থেকে পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব মিসবাহর কাঁধে। অধিনায়ক হিসেবে আর মাত্র ছয় ম্যাচে মাঠে নামলেই ছাড়িয়ে যাবেন সবচেয়ে বেশি ম্যাচে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া ইমরান খানকে (৪৮)। মিসবাহর অধীনে এখন পর্যন্ত ৪৩ ম্যাচের মধ্যে ২১টিতে জয়লাভ করে পাকিস্তান দল। ১১টিতে হারের বিপরীতে সমান ১১টি ম্যাচ ড্রয়ের মুখ দেখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
এমআরএম