ঢাকা: ভারতের মাটিতে হওয়া সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলার সময় অবৈধ অ্যাকশনের জন্য বাংলাদেশের দুই বোলার তাসকিন আহমেদ এবং আরাফাত সানিকে নিষিদ্ধ করার পর থেকে এই সমস্যা নিয়ে নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বিসিবি। সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) বোলারদের ওপর তাই বাড়তি নজর রাখা হয়।
বিসিবির দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারেননি অবৈধ অ্যাকশনের কোনো বোলার। মোট ১১ জন বোলারের বোলিং সন্দেহজনক বলে সনাক্ত করেন আম্পায়াররা। আরাফাত সানিরও বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে।
ঢাকা ডিভিশনাল প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে বোলারদের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরার জন্য তৈরি করা হয় বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি। আরাফাত সানি ছাড়া বাকি ১০ জন বোলারের বোলিং ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি।
বোলারদের অ্যাকশন পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্তভাবে বৈধ ও অবৈধ বোলারদের সংখ্যা প্রকাশ করেছে কমিটি। আরাফাত সানি ছাড়া প্রাথমিকভাবে ১০ জন বোলারের অ্যাকশনে ত্রুটি থাকলেও চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণে মোট সাতজন বোলারের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি আছে বলে জানা গেছে।
বাকি তিন বোলার যেকোনো ধরনের ডেলিভারি দিতে পারবেন বলে জানায় কমিটি। সাতজন বোলারের তালিকা থেকে মাত্র দু’জন নির্দিষ্ট ডেলিভারি বাদে বোলিং চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে, পাঁচ বোলার কোনো ভাবেই বোলিং চালিয়ে যেতে পারবেন না।
প্রায় দশ বছর পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার আবার উদ্যোগ নেয়া হয়। ক্যামেরা এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার কাজ শুরু হয়। মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশেই ইনডোর প্রাকটিস ফ্যাসিলিটিতে এই পরীক্ষা চলে। পরে এই ভিডিও যাচাই করে দেখা হয় কাদের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি আছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে বৈধ ছাড়পত্র পাওয়া তিনজন বোলার হলেন স্পিনার মইনুল ইসলাম, নাঈম ইসলাম জুনিয়র এবং সঞ্জিত সাহা। নির্দিষ্ট কিছু ডেলিভারি ছাড়া বোলিং করতে পারবেন স্পিনার রেজাউল করিম রাজিব এবং পেসার সাইফুদ্দিন আহমেদ। এছাড়া, বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ, আসিফ আহমেদ রাতুল, অমিতাভ কুমার নয়ন এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ১৮ আগস্ট ২০১৬
এমআরপি