ঢাকা: মাশরাফি বিন মর্তুজার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সময়োচিত ইনিংস ও দ্বিতীয় স্পেলে তাসকিন আহমেদের জ্বলে ওঠা ইংলিশ-বধের কৃতিত্বে মোটদাগে চোখে পড়বে এ তিন ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়ে ভূমিকা রেখেছেন আরেকজন।
প্রায় এক বছর পর বাংলাদেশের একাদশে ফেরা নাসির ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দেখিয়েছেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ব্যাট হাতে ২৭ বলে ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর বল হাতে ১০ ওভারের কোটা শেষ করেন মাত্র ২৯ রান দিয়ে। নেন মঈন আলির উইকেটটি।
ম্যাচ শেষে নাসির হোসেনের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করতে ভোলেননি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, ‘ব্যাটিং তো অবশ্যই ভালো করেছে। ওই সময়ে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছে। আমরা সব সময় চাই ৫০ ওভার একটা খেলোয়াড় ব্যাটিং করুক। বোলিং তো আমি মনে করি অসাধারণ। ১০ ওভারে মাত্র ২৯ রান, পাশাপাশি একটি উইকেটও পেয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু চাওয়া কঠিন। সব মিলিয়ে সে পেশাদারী পারফরম্যান্স করেছে এক বছর পর ফিরে। ’
‘মি. ফিনিশার’ নামটা যে এমনি এমনি চাওর হয়নি তারও প্রমান দিয়েছেন নাসির হোসেন। নাসিররের দুর্দান্ত ক্যাচেই সলিল সমাধি ঘটে ইংলিশদের ইনিংস। ২৩৯ রান তাড়া করতে নামা সফরকারী দল ১৫৯ রানে ৯ উইকেট হারালেও শেষ উইকেটে আদিল রশিদ-জ্যাক বল জুটি বেধে ভয় দেখাচ্ছিলেন স্বাগতিক শিবিরে।
মাশরাফির কাটার সীমানাছাড়া করতে গিয়ে মিডউইকেটে নাসিরের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন জ্যাক বল। ৪৫ রানের জুটি ভাঙার পরই জয়ের উদ্যোপনে মাতে বাংলাদেশ দল। জাতীয় দলে অবহেলিত নাসিরের হাত ধরেই যবনিকা ঘটে ইংলিশ ইনিংসের। অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে ফিনিশ করেন প্রতিপক্ষের ইনিংস।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৬
এসকে/