ঢাকা: পেস আক্রমণের বিপরীতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বরাবরই ভালো। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সফরকারীরা হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশের পেসের কাছেই।
মাশরাফি চারটি ও ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অসাধারন এক স্পেলে (৫ ওভার) ১৮ রানে তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ৩৪ রানের জয় উপহার দেন তাসকিন আহমেদ। তিন ম্যাচের সিরিজে টাইগারদের সমতায় ফেরান (১-১)।
সামনে এবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। আগামী বুধবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি। বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ মনে করেন, সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে সিরিজটি হতে পারে বাংলাদেশেরই। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দলের মাঝে আত্মবিশ্বাসও নাকি অনেক বেড়েছে বলে জানান এ পেসার।
চট্টগ্রামের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে টিম হোটেল রেডিসনে সংবাদমাধ্যমকে তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘এখন সিরিজটা আরও বেশি জমে গিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই যে ইংল্যান্ড অনেক শক্তিশালী দল। আমরা যদি সেরাটা খেলতে পারি, তবে সিরিজ জেতাটা সম্ভব। আসলে ফেভারিট বলে আগানো কঠিন। তবে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আশা করি সিরিজ জিততে পারবো। গতকালের ম্যাচ জয়ে দলের মাঝে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। ’
দ্বিতীয় ওয়ানডের উইকেট একটু মন্থর হওয়ায় ইংল্যান্ডের ইনিংসের সূচনাতেই বোলিং আক্রমণে আসেন সাকিব আল হাসান। অপর প্রান্তে পেস আক্রমণ করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এ দুই অভিজ্ঞ বোলার মিলে তাদের প্রথম স্পেলেই তুলে নেন চার উইকেট। যখন কিনা ইংলিশদের সংগ্রহ মাত্র ২৬। তবে জস বাটলার ও জন বেয়ারস্টো জুটি গড়ে চাপ সামলান। এ জুটি আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে জ্বলে ওঠেন তাসকিন। ওই স্পেলে জস বাটলারসহ তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠালে লেজ বেরিয়ে যায় ইংল্যান্ড ইনিংসের। শেষ উইকেটটি মাশরাফি তুলে নিলে জয়ের আনন্দে মাতে স্বাগতিকরা।
প্রথম স্পেলের দুই ওভারে ১৯ রান দেন তাসকিন। প্রথম ও দ্বিতীয় স্পেলের পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে তাসকিন জানান, ‘ওরা সবাই পেসের বিপরীতে খুব শক্তিশালী। আমি ও মাশরাফি ভাই খুব ভালো বল করতে পেরেছি। যদিও আমার প্রথম স্পেলের একটা ওভার খুব খরুচে হয়ে গিয়েছিল। ওখানে শর্ট বল দিয়ে ভিন্ন কিছু করতে চেয়েছিলাম। আসলে আমার শক্তির জায়গা পেস। জোরে বল করেই সফল হয়েছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ১০ অক্টোবর ২০১৬
এসকে/এমআরপি